ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সরকার দায়ী থাকবে- শাহজাহান চৌধুরী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণমানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। মিথ্যা সাজানো মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাঁকে এবং বিএনপি রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। জনবিচ্ছিন্ন ও রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সরকার ‘৫ জানুয়ারির’ মতো এক তরফা প্রহসনের নির্বাচনের মধ্যে আবারো ক্ষমতা দখলের মূল উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আর পাতানো নির্বাচন করতে দেবে না এই দেশের জনগণ।

শনিবার (২১ এপ্রিল) অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহেশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির (পরিচিতি) সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কারাগারে ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে সারা জাতি উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে খালেদা জিয়া শারীরিক কোনো ক্ষতি সরকারকে তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।’

আন্দোলন ও নির্বাচন প্রসঙ্গে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর এত দপন-পীড়ন ও নির্যাতন করছে; তারপরও বিএনপির নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আগামীতেও চলমান আন্দোলন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে। সে জন্য মহেশখালী উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিগুলো শক্তিশালী ও সুসংহত করতে হবে।’ শিগগিরই মাতারবাড়ি ও বড়মহেশখালীর ইউনিয়ন কমিটি এবং জুনের মধ্যে উপজেলা বিএনপি সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল হক চৌধুরীর এবং এড. ছালামত উল্লাহ রানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিপি এড. শামীম আরা স্বপ্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহ-সভাপতি এড.নূরুল আলম, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ বোখারী।

অন্যান্যের মধ্যে সাংগঠনিক বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবু তাহের চৌধুরী ও ডা. আবদুল মোতালেব, যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. সিরাজুল হক ইসলাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এখলাছুর রহমান (কালারমারছড়া), আরিফুল কাদের চৌধুরী (মাতারবাড়ি) রফিকুল ইসলাম (মাতারবাড়ি), আকতার হোসেন (শাপলাপুর), রেজাউল করিম (ছোটমহেশখালী), মো. শফি মেম্বার (কুতুবজোম), মো. আবদুল করিম (হোয়ানক), এড. জিয়া উদ্দীন (ধলঘাটা), সরওয়ার আলম (ধলঘাটা), ছাবের হোসেন (বড়মহেশখালী), আনোয়ার পাশা (বড়মহেশখালী) প্রমুখ।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন সদস্য এরশাদ উল্লাহ। শুরুতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সমবেদনা জানানো জানানো হয়।

পাঠকের মতামত: