নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রাণঘাতী করোনার প্রভাব অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে। এ যাবত প্রায় ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে মৃত্যুর মিছিল না দেখা গেলেও মৃত্যুর হারে ইতালির পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এশিয়ার মধ্যে মৃত্যুর হারে প্রথমেই রয়েছে বাংলাদেশ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে পরীক্ষার হার কম। এ কারণে সংক্রমণের হারও কম। গত দু’দিনে পরীক্ষার পরিধি বৃদ্ধির পর আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিধি বাড়ানো হলে আরও আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে যত বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা যাবে, তত বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের খুঁটিনাটি নিয়ে নিয়মিত হালনাগাদ করে যাচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ওর্মিটার’ নামে একটি ওয়েবসাইট। এটি সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে মৃত্যুর হার ১১.৪৩ শতাংশ।
উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। ৬১ হাজারের্ ওপরে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ওমিটার বলছে, চীনে করোনায় মৃত্যুর হার ৪.০৪%। বাংলাদেশের সামনে আছে কেবল মৃত্যুপুরী বনে যাওয়া ইতালি (১২.২৫%), যদিও পার্থক্য খুবই সামান্য। আরেক মৃত্যুপুরী স্পেনের হারও বাংলাদেশের চেয়ে কম (৯.৩৯%)। করোনার নতুন আবাস আমেরিকায় অনেকে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার খুবই কম (২.৬৭%)।
হিসাব করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার এখনও বিশ্বের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে! মাঝখানে খানিক বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ এবার দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে, সেই সাথে মৃত্যুর শতকরা হার আরও বেড়েছে!
অর্থাৎ দেশে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ জন মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে! যা ভাইরাসটির উৎপত্তি স্থল চীনের চেয়েও অনেক বেশি।
এশিয়ার দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়াতেও মৃত্যুহার যৎসামান্য, যথাক্রমে ১.৭৪ % ও ১.৫৯%। প্রতিবেশী ভারতে (২.৭৯%) তাদের থেকে পাকিস্তানে (১.৪৮%) তুলনামূলকভাবে মৃত্যুহার অনেক কম। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কায় মৃত্যুহার ৩.১৪%। খবর. ওয়ার্ল্ডওমিটার।
পাঠকের মতামত: