ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সদর থানার ৫০ গজের মধ্যে সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি!

নিজস্ব প্রতিনিধি :: কক্সবাজার সদর মডেল থানার ৫০ গজের মধ্যে হোটেল তাজসেবার ২য় তলায় অবস্থিত কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।

গতকাল ১৪ অক্টোবর ২০২২ ইংরেজী তারিখ ভোর ৬ থেকে ৮টার মধ্যে উক্ত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাটি সংগঠিত হয়। এসময় অজ্ঞাতনামা চোরের দল সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে ঢুকে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিটির প্রচার সম্পাদক , দৈনিক ইনানী এবং জাতীয় দৈনিক রুপান্তর পত্রিকার পেকুয়া-কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ব্যবহৃত একটি রিদমি নোট নাইন এনড্রয়েট মোবাইল সেট এবং একটি সিম্পনি মোবাইল সেট, আল আরফা ইসলামী ব্যাংকের সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের নামীয় একটি এটিএম কার্ড, এনআইডি, সবুজ রংয়ের একটি মানিব ব্যাগ, মানি ব্যাগে ১৮ হাজার ৫’শ টাকা ছিল, এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ চুরি করে নিয়ে যায়। এদিন ফজরের নামাজ পড়ে সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান।

১৪ অক্টোবর ভোর ৬ থেকে ৮ টার মধ্যে চুরির ঘটনাটি সংগঠিত হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতেন পান টেবিলের উপর রাখা দুইটি মোবাইল, মানি ব্যাগ, এটিএম কার্ডসহ কিছুই নেই। ঘটনার পর সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন কক্সবাজার সদর থানায় উপস্থিত হয়ে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সদর থানার ৫০ গজের মধ্যে চুরির ঘটনা রহস্যজনক। হোটেল তাজসেবার নৈশ প্রহরীসহ হোটেলে অবস্থানরত সাংবাদিক ইউনিটির আশেপাশে কয়েকটি কক্ষে রাত্রে থাকা লোকজনকে ঘিরেও সন্দেহ রয়েছে। এছাড়াও ১৪ অক্টোবর ভোর ৬ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত তাজসেবা হোটেলের আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশ কর্তৃক সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করলে চোর সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সদর থানার ৫০ গজের মধ্যে সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে চুরির ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে চোর সনাক্ত করে সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহাদাত হোছাইন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি এ ঘটনায় থানায় চুরির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: