নিজস্ব প্রতিবেদক ::
গত দুই দিন ধরে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে কয়েক দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিস্ফোরণে আতঙ্কে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
সর্বশেষ বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ইনস্টিটিউটের বারান্দায় বসে রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়া পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেওশা, জাফরিন, রশনি ও জারার নাম জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটছে। বিস্ফোরণের পরপর আগুন ধরে যায় বৈদ্যুতিক পাকা, লাইট, সুইচে। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সেই রাতও না ঘুমিয়ে কেটে গেছে। কিন্তু বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে আবারও কয়েক দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই থেকে রাতে ইনস্টিটিউটের বারান্দায় অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন ধরে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি। কয়েক দফা বিস্ফোরণের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সবাই আতঙ্কে রয়েছে। এতো করে বলার পরও মেরামত না করে আমাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
সাদিয়া নামে এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে লিখেছেন, হোস্টেলের গেটে রাত জেগে বসে আছি। কখন কোন দিকে আবারও বিস্ফোরণ হয়। এতগুলো মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নেই।
জাহানারা নামে আরও একজন লিখেছেন, মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করছি। কখন কীভাবে মৃত্যু হবে বুঝতে পারছি না। যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটছে।
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের সুপার করুনা রাণী বেপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে ১০০ ছাত্রী রয়েছেন। যারা হোস্টেলে থেকে ক্লাস করার পাশাপাশি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কাজ করেন। সুত্র: ঢাকাপোষ্ট
পাঠকের মতামত: