সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পৃথিবীর সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং রাজনীতিবিদদের অনেকেই আইনের ছাত্র বা আইন পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। যারা আইন বুঝেন তাঁরা জনগণের কল্যাণের বেশি অবদান রাখতে পারে। তাই আইনের শিক্ষার্থীদরে মুখস্তবিদ্যা ও গাইডনির্ভর না হয়ে মৌলিক আইনসমূহ জানার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশাশি একজন মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
এক্ষেত্রে তরুণ আইনবিদদের মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। যেহেতু আইনজীবীদের সমাজের সচেতন শ্রেণি মনে করা হয়। আইন পড়–য়া শিক্ষার্থীরাই হবে আইনের ভবিষ্যত ধারক-বাহক এবং সমাজের অন্যতম সারথি। দৈনিক অন্তত দু’ঘন্টা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলে আইনজ্ঞ হতে সময় লাগার কথা নয়। শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত কক্সবাজার আইন কলেজ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শেষপর্বের সমাপনী সম্মিলন-২০১৯ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের আধুনিক শিক্ষার অন্যতম মহান ব্যক্তি কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাবন্ধু ক্য থিং অং উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ প্রণেতা, কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) এর সভাপতি সমাপনী সম্মিলন-২০১৯ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ও স্মারক সম্পাদক সাংবাদিক আজাদ মনসুর’র প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার আইন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ বাকের।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমসাময়িক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার অবিচ্ছেদ্য নীড়। এখানে পারস্পরিক সহাবস্থান, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক, সমাপনী সম্মিলনসহ সময়ে সময়ে প্রোফাইল স্মারক-স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত্ব ও সৌহাদ্যের সেতুবন্ধন। আইন শিক্ষা ও আইন চর্চার গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের আইনের বিদ্যানগরগুলো যেভাবে আইনবিদ ও আলোকিত মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে কক্সবাজারের আইনের সর্বোচ্চ বিদ্যানগর কক্সবাজার আইন কলেজ।
সমাপনী সম্মিলন-২০১৯ এর অপর সমন্বয়ক কক্সবাজার পৌরসভার কর কর্মকর্তা আবদুল মাবুদ রাজনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি পুরোটাই ছিল ব্যতিক্রম। বিকাল ৫টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে সমাপনী পর্বের শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটে এবং অভ্যর্থনা ও রেজিষ্ট্রেশন টিমের আবুল কালাম, পবন পাল, মাহবুব আলম ও রিফাত জাহান আগত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্য সম্পাদন করেন।
সমাপনী সম্মিলনের শুরুতে আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শেষ পর্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে উম্মে রুমায়ুন, পবন পাল, সরওয়ার কামাল রানা, আইনুশ শিরীন নজমে আলী, রিফাত জাহান, মাহবুব আলম, নুসরাত জাহান, শিরিনুর আকতার, রেবেকা সুলতানা পারভীন, লিপিকা শর্মা ও তাজমিন সুলতানা নিশাত।
পরে প্রধান অতিথিকে উত্তোরীয় পরিয়ে দেন কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বাকের এবং সকল শিক্ষকদের উত্তোরীয় পরিয়ে দেন প্রধান অতিথি ক্য থিং অং। আলোচনা, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা ও উত্তোরীয় প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে সামাপনী সম্মিলন উপলক্ষে সমাপনী সম্মিলন স্মারক’১৯ এর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি ও আগত অতিথি ও শিক্ষকমন্ডলীবৃন্দ। পরে শুরু হয় মূল আলোচনা ও স্মৃতি চারণপর্ব। পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন শিক্ষার্থী আবুল কালাম, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন জ্যোতিষি মিঠুন আচার্য্য ও পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন দীপক বড়–য়া দিপু।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কক্সবাজার সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবুল মনসুর, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রহিম উদ্দিন সিদ্দিকী, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাহার উদ্দিন, অধ্যাপক দিলীপ আচার্য্য, অধ্যাপক শামসুল আল, প্রভাষক প্রতিভা দাশ ও সৈয়দ রেজাউর রহমান (রেজা)। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক শামসুল হুদা ও মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ।
পরে প্রধান অতিথি ক্য থিং অং কে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বাকের এবং সকল শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি মহোদয়।
কক্সবাজার আইন কলেজের ইতিহাস পাঠ করেন কলেজের শিক্ষার্থী ও সমাপনী সম্মিলনের অপর সমন্বয়ক সরওয়ার কামাল রানা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলেজের সমাপনী পর্বের শিক্ষার্থী সমাপনী সম্মিলন’র অপর সমন্বয়ক, কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম রুবেল, উম্মে রুমায়ুন, মাহবুব আলম, আইনুশ শিরিন নজমে আলী ও রিফাত জাহান। অনুষ্ঠানের শেষে সবার সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
পাঠকের মতামত: