নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারে এনজিও প্ল্যাটফর্মের নির্বাচনে হট্টগোল হয়েছে। কিছু ব্যক্তির অগণতান্ত্রিক আচরণে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অনুষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের হোটেল ইউনি রিসোর্টে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে অধিকাংশ এনজিও প্রতিনিধি সমর্থন জানালেও বিরোধিতা করেন কয়েকজন ব্যক্তি।
এরই মাঝে যৌক্তিক দাবিগুলো উপস্থাপন করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
আইএসসিজির একচ্ছত্র ক্ষমতার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, আইএসসিজির প্রধান ইচ্ছা পোষণ করলে কোন কোন প্রতিনিধিত্ব নাকচ করতে পারেন। যা গণতান্ত্রিক চরিত্রের অন্তরায় এবং অমানবিক।
তিনি স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন, তারা যেন একাধিক কমিটিতে না থাকেন।
ব্র্যাক একটি স্বনামধন্য এনজিও। তারা অনেক ভালো কাজ করে থাকেন। তবে, সমস্ত কমিটিতে ব্র্যাকের প্রতিনিধি থাকতে হবে, এমন নয়। অন্যান্য এনজিওগুলোকেও সুযোগ দেওয়া দরকার।
“পোল ফান্ড” নিয়েও কথা বলেন রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, এনজিও ব্যুরোতে অনিবন্ধিত স্থানীয় সংস্থাগুলোকেও প্রকল্পের কাজ, অনুদানসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। শুধু প্রশিক্ষণ দিলে হবে না।
রেজাউল করিম চৌধুরীর মিনিট পাঁচেকের যৌক্তিক বক্তব্যে অধিকাংশ স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধি একমত হন এবং তাকে স্বাগত জানান।
নির্বাচনে হট্টগোলের বিষয়ে জানতে এনজিও প্ল্যাটফর্মের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর আহসানকে ফোনে পাওয়া যায় নি। এসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর আমির হোসাইনকে কল করলে তিনি ‘মিটিংয়ে আছেন’ জানিয়ে ফিরতি ম্যাসেজ দেন।
উল্লেখ্য, এনজিও প্ল্যাটফর্মে শতাধিক স্থানীয় সংস্থা রয়েছে। যারা সকলেই কক্সবাজারকেন্দ্রীক কাজ করেন।
পাঠকের মতামত: