এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার,৬ ফেব্রুয়ারী ॥
কক্সবাজারের তরুণ সাংবাদিক জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অর্থাভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে না পারায় ধীরে ধীরে তিনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি পিত্তথলির পাথর নিয়ে তার ভাড়া বাসা কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত জসিমের শরীরে ২টি রিং সম্প্রতি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী অপারেশনের মাধ্যমে ৩টি পাথর পিত্তথলি থেকে বের করার কথা পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। ‘একজন মানুষ’ হিসেবে সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করেন এবং তিনি বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে,অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে বলে জসিম উদ্দিন সিদ্দিকীর পরিবার সুত্র জানান।
৪ জানুয়ারি সকালে বুকে আর পেটে ব্যথা অনুভব করেলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার হার্টের সমস্যাসহ পিত্ততলিতে যথাক্রমে ৮ গ্রাম এবং ৬ গ্রাম এর ৩টি পাথর পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে।
এদিকে, জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী শিক্ষিত হলেও দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় মহৎ ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা তিনি প্রথম দফায় শরীরে দুটি রিং স্থাপন করেছেন। এখনো পিত্তথলিতে রয়েগেছে ৩টি পাথর। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি ঘটছে। তার চিকিৎসার জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকার দরকার সেটা যোগান দেয়ার সাধ্য তার পরিবারের নেই। প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় তার চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবার। তাকে বাঁচাতে অসহায় পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। জসিম স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহকর্মী সহ সকলের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের নাম্বারে। ‘একজন মানুষ’ হিসেবে কক্সবাজারের তরুন সাংবাদিক জসিম উদ্দিন সিদ্দিকীকে আমরা কি পারিনা সহযোগীতা ও দোয়ার হাত বাড়াতে। এই অসুস্থ মানুষটির সাহায্যে হাত বাড়ান। একটু সহানুভুতি পেলে মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফেরানো যেতে পারে এই মানুষটিকে। আসুন না আমরা এই বিপন্ন মানুষটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়। আমরা কি পারি না একজন সাংবাদিক ও তার পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে। তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে (০১৮১২৫৮২৬২০) নম্বরে কথা বলার জন্য পরিবারের সদস্যরা অনুরোধ করেছেন।
প্রসংগত, জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী একজন সত্যনিষ্ট সাংবাদিক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কক্সবাজার কন্ঠ এর সম্পাদক ও কক্সবাজার নিউজ এজেন্সীতে কর্মরত আছেন। একসময় জসিম শহরের শিক্ষা প্রতিষ্টান আলহেরা একাডেমী, কক্সবাজার পাবলিক হাই স্কুল, ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসায় সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং জাতীয় নিউজ পোর্টালে কাজ করেছেন।
পাঠকের মতামত: