উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খাল, ছরা, পাহাড় সহ ২০টি খালের পয়েন্টে অবৈধভাবে নির্বিচারে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এক শ্রেণির অসাধু চক্র বালি বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কতিপয় অসাধু সরকারি কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় বালি উত্তোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি, বসত ভিটা সহ মূল্যবান জাতীয় সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহল।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার থাইংখালী, পালংখালী, মোছার খোলা, তেলখোলা, রাজাপালয়ের হিজলিয়া, দোছড়ি, হাজীর পাড়া, তুতুরবিল, কুতুপালং, রতœাপালংয়ের গয়ালমারা, চাকবৈঠা, রেজুর খাল, লম্বরীপাড়া, ইনানী, মনখালী, মাদার বনিয়া, চোয়াংখালী, মরিচ্যা, পাগলিরবিল, হরিণমারা সহ ২০টি খালের পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারী ভাবে ইজারা না থাকার পরও সংঘবদ্ধ বালি খেকোরা বালি লুটপপাট করে যাচ্ছে। এর ফলে ফসলী জমি, বসত ভিটা সহ মূল্যবান জাতীয় সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, পাহাড় কাটা, বালি ও পাথর উত্তোলন সহ সরকারি বন সম্পদ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়া উচিত। কিন্তু তাদের রহস্যজনক ভূমিকার কারনে আজ বালি খেকোরা অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের মরিয়া হয়ে উঠেছে। সচেতন মহলের মতে, কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল হিসেবে এককালের খ্যাতনামা বনসম্পদ উখিয়ার সবুজ বনানী আজ ধু-ধু মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার কতিপয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিচরণকারী একটি প্রভাবশালী মহল। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, পরিবেশ বিধ্বংসী, সামাজিক বিপর্যয় ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর আঘাত হানতে সক্ষম এমন কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে।
পাঠকের মতামত: