উখিয়া সংবাদদাতা :: কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ১৯১ ভরি স্বর্ণালংকারসহ করম আলী ওরফে করিম (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার করম আলী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিয়াঘোনা এলাকার ঠাণ্ডা মিয়ার ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধিনায়ক খাইরুল ইসলাম আরও বলেন, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় র্যাব। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পালংখালী এলাকায় বিশেষ কৌশলে অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু চালানো হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে চৌকির সামনে আসা এক ব্যক্তির গতিবিধি ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা থামতে নির্দেশ দেন। এ সময় লোকটি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় শরীরে বিশেষ কৌশলে বহন করা অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার, ৪টি নেকলেস, ৩৩টি গলার চেইন, ১৭টি চুড়ি, ৩৫ জোড়া কানের দুল, ১৫টি লকেট, ১২টি নাকফুল ও ১৬টি আংটিসহ ১৯১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫৯ টাকা। এছাড়াও তার কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২টি এবং বাংলাদেশি ২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। সিমকার্ডগুলো পাচারকাজে ব্যবহার করা হতো।
র্যাব কর্মকর্তার ভাষ্য, সীমান্তে সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তি উদ্ধার করা স্বর্ণের চালানটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত আছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: