চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::
মিয়ানমার সামরিক জান্তা, বিজিপি ও উগ্রপন্থি সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্টির অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট আটক করে পৈষাশিক নির্যাতনের ঘটনায় পালিয়ে আসা প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের নেপথ্যে কতিপয় নিবন্ধনহীন এনজিও উৎসাহ ঝুগিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারনে সরকার বিভিন্ন অবলম্বে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক ওইসব এনজিওকে দায়ী করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃকজারীকৃত তথ্যে জানা গেছে, সরকারের সামনে অন্যতম বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। মিয়ানমার সরকারের দমন-নিপীড়নের কারনে প্রায় ৭লাখ রোহিঙ্গা এদেশে প্রবেশ করে উখিয়া-টেকনাফ ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতায় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও ভরণ পোষনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কক্সাবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই ভাবে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা শাখা ও সংস্থা গুলোর রেজিষ্ট্রেশন গ্রহন সংক্রান্ত কোন তথ্য উপাত্ত পায়নি। যে কারনে ১২টি এনজিও’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। উক্ত নির্দেশনায় উল্লেখ্য করা হয়েছে সাফ্জ, কালব, ওফকা, জাগরণ, এমপিডিআর, মানবাধিকার, শেড, ওয়াশ, টাই বিডি, এসআরপিবি, গ্রামীণ ব্যাক, লাচুন ও শিলাফ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব সনজীদা শারমিন স্বাক্ষরিত এ আর্দেশ ২৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এ সংক্রান্ত অনুলিপি বাংলাদেশ সচিবালয়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সুরক্ষা বিভাগের একান্ত সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অনৈতিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক উক্ত ১২টি এনজিওদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: