ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ঈদ ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যেন নির্বিঘ্নে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারে সে জন্য তার সরকার সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বুধবার সকালে গণভবনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ঘটিয়েছি যাতে করে যারা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা যেন ভালভাবে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছতে পারেন এবং পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে আবার ভালভাবে ফেরত আসতে পারেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ, র‌্যাব থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, যাতে আপনারা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর শোকের মাস আগস্টেই পবিত্র ঈদুল আজহা এসেছে। এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগসহ অনেক মহান আত্মত্যাগের স্মৃতি আমাদের রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়েছি।৭৫-এর ১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ থেকে কেবল আমরা দুই বোন বেঁচে গেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। কাজেই আমাদের জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনারা দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, ‘গভীর শোক বুকে ধারণ করে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেখানে জনগণ শান্তি এবং উন্নত জীবন লাভ করতে পারে।’

জাতির পিতা যে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তেমন বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের কর্তব্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অনুরোধ করে বলেন, তারা যেন জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য এই পবিত্র দিনে দোয়া করেন।

এ সময় সামনে জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের তথ্য প্রচার করারও আহ্বান জানান।

ঈদের জামাত শেষ করেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে একের পর এক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের আগমন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশল বিনিময় করেন। এ সময় গণভবনের বিশাল লনটি চমৎকার সাজে সজ্জিত করা হয়।

শুরুতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষসহ সাধারণ জনগণকে এদিন প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

পাঠকের মতামত: