ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 ঈদগাঁও-ইসলামাবাদবাসীর ভাগ্য ঝুলছে নৌকায় রশিতে, খেয়াঘাটে চলছে পকেট কাটা…….

এম আবুহেনা সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ফুলেশ্বরী নদীর উপর ঈদগাঁও-বাশঘাটা স্থানে নিমার্নাধীন সেতু ধীরগতিতে নির্মান কাজের ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ৩০ হাজার জনগন।
যে কারনে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে সাধারন লোকজনকে। দীর্ঘকাল ধরে এভাবে নৌকার রশিতে ঝুলে আছে ঐ এলাকার হাজার হাজার জনতার ভাগ্য। নৌকা যোগে খেয়াঘাট পারাপারে চলছে পকেট কাটাও। এই নিয়ে জন মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। সেতুটির নির্মান কাজ কচ্ছপগতিতে হওয়ায় কারনে বর্তমানে নৌকায় লোকজন চলাচলে দ্বিগুন ভাড়ায় মেতে উঠেছে নৌ ঘাট কতৃপক্ষ। জানা যায়, এপার ওপার পার হতে দৈনিক ২৫/৩০ হাজার লোক জনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে। রোগী ও নারীদের দীর্ঘপথ ঘুরে যেতে হয় জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে।
তবে স্থানীয় কজন যুবক ও শিক্ষার্থীদের মতে, বহুদিন নদী পারাপার করলেও স্থানীয়রা বিগত বর্ষা মৌসুমে সকলের সহযোগিতায় কাঠের তক্তা দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেছিল। নির্মাণের কিছুদিন পার হতে না হতেই টানা বৃষ্টির ফলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সাঁকোটি তলিয়ে যায়। যাতে করে,কিছু কতিপয় ব্যাক্তির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। ব্রীজের অভাবে নৌকা করে পথচারীরা নদী পারাপার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি পরিষদ থেকে টেন্ডারও হয়েছে। যাওয়া আসা জনপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ঘাট কতৃপক্ষ এটিকে বৃদ্বাঙ্গলী দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে।

স্থানীয় কজনের মতে,নৌকা পার হয়ে যাওয়া আসা কালে দশ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। এছাড়াও ব্রীজটি দীর্ঘকাল ধরে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সাধারন লোকজন দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে।

তবে ভাড়ার বিষয়ে গোমাতলীর এক ব্যাক্তি  জানান, বিগত ২/৩ মাস ধরে দশ টাকা নৌকা ভাড়া দিয়ে আসা যাওয়া করে যাচ্ছি। প্রতিবাদ করার মত কোন ব্যাক্তি নেই।

বোয়ালখালীর অপর আরেক ব্যাক্তি জানান, দৈনিক দুবার আসা যাওয়াতে ১০ টাকা নৌকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এটি এক প্রকার যাত্রীদের উপর জুলুম বললেই চলে।

তবে কয়েক সাধারন লোকজন জানায়,৫ টাকার পরির্বতে ১০ টাকা নৌকা ভাড়া অমানবিক। তিনি নৌকা ভাড়া কমিয়ে যাত্রীদেরকে অহেতুক ভাড়া বানিজ্য থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানান।

সচেতন মহল জানান, বিগত কয়েকমাস ধরে ঘাট কতৃপক্ষ ভাড়া নিয়ে যাচ্ছে দ্বিগুন। এদিকে সামান্য বাশঁঘাটার নদীটি পেরিয়ে ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী,শিক্ষার্থীসহ সাধারন খেটে খাওয়া লোকজন দৈনিক দুই বার করে যাতায়াত করে থাকে।

দুয়েক শিক্ষার্থী কক্সবাজার প্রতিদিনকে জানান, এখনো বন্ধ হয়নি দশ টাকা নৌকা ভাড়া। একদিকে এলাকার লোকজনের চলাফেরায় চরম দূর্ভোগ,অন্যদিকে দ্বিগুন ভাড়া বানিজ্য নিয়ে বিপাকে পড়ছে পারাপারকারীরা। এ দুই সমস্যায় রয়েছে এলাকাবাসী,যেন দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে ইসলামাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক নৌকা ভাড়া টেন্ডারে ৫ টাকা স্বীকার করে বলেন, যদি নৌকা ভাড়া ১০ টাকা নেওয়া হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিমার্নাধীন ব্রীজটি নির্মান কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করে লোকজন চলাচলের সু ব্যবস্থা করা হউক।

পাঠকের মতামত: