সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে সবজি চাষিদের চোখে-মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। বিষন্নতার ছাপ অনেকটাই ম্লান হয়েছে তাদের আগাম শিম চাষের মধ্য দিয়ে। সাধারণত শীতকালে শিম চাষ করেন সবজি চাষিরা। এবার নতুন জাতের শিমের ফলন ভালো হয়েছে। আগাম গ্রীষ্মকালীন চাষে ফলন ও দাম-দুটোই তারা পেয়েছেন ভালো। এ কারণে সবজি চাষিরা এবার ভীষণ খুশি বলে জানা গেছে।
মঙলবার দুপুরে উপজেলার ঈদগাঁও’র ভোমরিয়াঘোনা-গজালিয়া এলাকা ঘুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর শিমের মাচা। ছড়ায় ছড়ায় ঝুলছে শিম। অসময়ে শিম চাষ! বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় ওই এলাকার সবজি চাষি মো: আলম নিজেকে একজন সফল শিম চাষি হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সে বর্তমানে বাবাকে নিয়ে সারাদিন শিমের বাগানে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বিক্রির পাশাপাশি বীজ উৎপাদন করছেন। তিনি গত বছর ৫ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র আধাকানি জমিতে শিম চাষ করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা আয় করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার টাকা খরচে ১কানি জমিতে উচ্চ ফলনশীল শিমের চাষ করেন।
গজালিয়া গ্রামের আরেক সবজি চাষি আব্দুর ছবুর। তিনিও প্রায় আধাকানি জমিতে আগাম গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এসময়ে শিম, তাই পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম। শীতকালীন শিম চাষের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে রোগবালাই অনেকাংশে কম। তাই ওষুধ ও সার খরচও কম। এ সময় শিমের বাজারদামও ভালো। প্রতিকেজি শিমের পাইকারি মূল্য পেয়েছি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
একই এলাকার সবজি চাষি আব্দুর রহমান বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে এই শিমের বীজ বপন করতে হয়। চারা বের হওয়ার ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু হয়। ২ মাস বয়সের গাছ থেকে শিম তোলা শুরু হয়। তিন থেকে চার দিন পর পর শিম তুলে আমরা বিক্রি করি। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই এর আগে সবজি চাষ করে দাম না পেয়ে ঋণে জর্জরিত ছিলাম। এখন আমরা অনেকটা স্বস্থির নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, শিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। এর বিচিও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তাই দেশে এর চাহিদা ব্যাপক। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শিম চাষিরা বেশ লাভবান হবেন বলেও আশা করেন তিনি।
পাঠকের মতামত: