এম আবুহেনা সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসষ্টেশনসহ বাজারের যত্রতত্র স্থানেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। মহাসড়কের পাশ্বর্বতী বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ময়লার স্তুপের কারনে দূগর্ন্ধে বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ। চরম বিপাকে পড়ছে সাধারণ পথচারীরা। বাতাস ও বৃষ্টিতে দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনা স্তুপ ছড়িয়ে পড়ে সড়কে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্টানের আশপাশে। এতে এলাকায় যেমন মশার উপদ্রব বাড়ছে,তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ২৯ সেম্পেম্বর সকালে মহাসড়কের ঈদগাঁও ষ্টেশনসহ বাজারের ভেতরে পাবলিক লাইব্রেরীর সন্নিকটে সরেজমিনে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর যত্রতত্রে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় মহাসড়কের পাশ জুড়েই ময়লার স্তুপে পরিণত করে তুলছে। বাসষ্টেশনের ইউসিবি, ইসলামী,ফাষ্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ওয়ালটনের সামনে,ফুলকলির পাশ্ববর্তী আর জাগির পাড়া সড়কের মাথাসহ যাত্রী ছাউনী পয়েন্টে আবর্জনায় ছেয়ে গেছে। আবার ঈদগাঁওর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পাবলিক লাইব্রেরীর সন্নিকটে পুরো বাজারের ময়লা আবর্জনার বিশাল স্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। পাশ্ববর্তী পুকুরে লোকজন গোসলসহ নানা কাজে ব্যবহার করছে পানি। এমনকি প্রায়শ দুগন্ধময় ময়লা আবর্জনার পাশে শহীদ মিনারের মাঠে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে নেতাকর্মীরা। এসব আবর্জনাগুলো সরানোর কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছেনা। দেখার যেন কেউ নেই। এমনকি সড়ক দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী যাতাযাতে মুখে কাপড় চেপে ধরে যাচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে। দূর্ভোগ আর দূর্গতি যেন ভোলার নয়। পথচারী সাদ্দাম,শাহজাহান ও মিজান ককসবাজার প্রতিদিনের এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিনিয়ত যত্রতত্রে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সড়কে চলাচল করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা যায়না ষ্টেশনে ব্যাংকের সামনে বসা এখন মহামুসকিল হয়ে পড়ছে। চলাচল করতে হলেও নাক-মুখ চেপে রাখতে হয়। ব্যবসায়ীরা এসব বিষয়ে সু-নজন না দেওয়ায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান অসংখ্য সচেতন লোকজন।
ঈদগাঁও কমিউনিটি পুলিশের সাধারন সম্পাদক জানান, বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার ও ষ্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে দূর্ষিত ময়লায় ভরপুর। দুগন্ধ বের হচ্ছে,চলাচলে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে নারী-পুরুষ। অথচ ইজারাদার কতৃপক্ষ নীরব দশর্কের ভুমিকায়। দেখভালের কেউ নেই।
ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহবুব আলম মাবু জানান, ঈদগাঁও বাজার ও ষ্টেশনে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের হামখেয়ালিপনার কারনে এ আবর্জনার গুলো জমে থাকছে। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে সৌন্দয্যেও হারাচ্ছে। একটু সচেতন হলেই সবকিছু সম্ভব বটে।
ঈদগাঁও ভিলেজ ডক্টরস ফোরামের সহ সভাপতি রেহেনা নোমান কাজল জানান, দূর্ষিত ময়লা আবর্জনা থেকে ডায়রিয়া,টাইফেটসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা ও জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানোর পরেও আশানুরুপ কিছুই দেখা যায়নি।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: