ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং

Electricity-19-295x160সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। যাতে করে জনজীবন অতিষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাজারের ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সাম্প্রতিক সময়ে পল্লী বিদ্যুতের দিবারাত্রি লোডশেডিং চোখে পড়ার মত। এছাড়াও এলাকাজুড়ে দৈনিক ১০/১৫ বারের মত লোডশেডিং চলছে। যাতে করে ব্যবসায়ীর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের সাধারণ লোকজন ও বিপাকে পড়ছে। আবার অনেকের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা দিচ্ছে। ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে দৈনিক লাখ লাখ টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হলেও এখানকার ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে শুরুতে টেনশনে ভুগছেন। এ লোডশেডিং সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণীর লোকজন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে । এছাড়া লোডশেডিং শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাসহ শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্ট, নানা ব্যবসা বানিজ্য, স-মিল সহ নানা কলকারখানা চালাতে ভোগান্তিতে পড়ছে স্ব স্ব ব্যবসায়ীরা। তার উপর শিক্ষার্থীরা পড়েছে লেখাপড়া নিয়ে দারুনভাবে বিপাকে। এদিকে বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নানা হাসপাতালে ফ্রিজে রাখা দামী দামী ঔষধপত্রাদি নষ্টের পথে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা চার দেয়ালের মাঝে গরমে হাবুডুবু খাচ্ছে। বেশ ক’জন গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গরমের শুরুতে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে। এদের থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন ব্যবস্থা আছে কি? এমনকি হাসপাতাল ও কিনিকে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারী জিনিসপত্র বিদ্যুতের কারণে নানা সমস্যায় সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।

এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ লোডশেডিং নিয়ে বিপাকে গ্রামাঞ্চলের লোকজন। ঈদগাঁও’র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছে দারুনভাবে লোডশেডিং নিয়ে।

পল্লী বিদ্যুৎ ঈদগাঁও অফিসের এজিএম মো: শফিউদ্দিন আহমদের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  ################

খুটাখালীতে সওজ‘র উচ্ছেদ আতংক !

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে যে কোন দিন উচ্ছেদ অভিযান হবে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’ কক্সবাজার । কবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এরকম অনেক বার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে বলে মাইকিং করেছিল। কিন্তু কেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছেনা এর কারণ অজনা। অনেক ব্যবসায়ী তাদের দখলে থাকা স্থাপনা নিজ উদ্দ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে স্থিতি রয়েছেন।

উল্লেখ্য সওজ’র জায়গায় অবৈধ দখলদারদেরকে ২০ মার্চের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেন। সওজ কর্তৃপক্ষের লোক এসে ষ্টেশনের দু’পাশে পরিমাপ পূর্বক অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন লাল দাগ পর্যন্ত সরকারের অধিগ্রহণকৃত জায়গা। নির্ধারিত তারিখে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালী ষ্টেশনের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনাগুলো ২০-২২ মার্চ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল ২০ মার্চ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। তবে অনেক বৈধ দখলদারদের মাঝে উচ্ছেদ আতংক বিরাজ করছে। এদিকে সওজের জায়গায় প্রভাবশালী মহল স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। খবরদারি নজরদারির অভাবে এ অবৈধ স্থাপনা। কবে উচ্ছেদ করা হবে অবৈধ স্থাপনা এমন প্রশ্ন রেখেছেন দখলদারেরা।

পাঠকের মতামত: