এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :: কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে গত তিনদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে জনদূর্ভোগ চরমে বললেই চলে। জন ও যানবাহন চালকরা চলাফেরায় নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতির মধ্য দিয়ে।
আজ ৪ জুলাই সকালে জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্তবহুল এ বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ভারী বৃষ্টি পাতের পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। হাসপাতাল সড়ক,বাঁশ ঘাটা সড়ক,ভূমি অফিস সড়ক,মাছ ও তরিতরকারী বাজার সড়ক,চাউল বাজার,মসজিদ সড়ক,কাপড়ের গলি,জাগির পাড়ার বিভিন্ন অংশে পানিতে সয়লাব হয়ে উঠেছে।
মুষলধারে বৃষ্টি কোনভাবেই কমছেনা। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠও পানিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। সে সাথে ঈদগাঁওর বিকল্প সড়ক হিসেবে পরিচিত মাদ্রাসা সড়কটিতে যত্রতত্র স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জন ও যান চলাচল অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সকালে সড়কে টমটম চলাচল করতে গিয়ে পানির কারনে গর্ত দেখা না যাওয়ায় টমটম উল্টে মহিলা যাত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয় বলে জানান এক যাত্রী। এভাবে প্রায়শ ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এ সড়কে।
দীর্ঘমাস ধরে বাজারের প্রধান সড়কটি সংস্কার না করায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান বহু পথচারীরা। অন্যদিকে জালালাবাদের সওদাগর পাড়ার প্রবেশপথে পানি জমে যানবাহন ও লোকজন চলাচলে মহা দূর্ভোগে পড়েছে। দীর্ঘকাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিয়ে নানা ভাবে কষ্ট পাচ্ছে অসহায় লোকজন। পাশাপাশি এ এলাকার সড়কের পাশে ড্রেনের পঁচা দূগন্ধে বিষিয়ে তুলছে এলাকাবাসীকে। গরু মহিশের চামড়ার ধৌত করার নোংরা পানিসহ ময়লা আবর্জনা পচেগলে যাওয়ার গন্ধ যেন চলাচল রত লোকজনকে প্রতিনিয়ত হাফিয়ে তুলছে।
এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনজর দাবী করেন সাধারন মানুষরা। আবার ঈদগাঁওর মাইজপাড়ার ভরা খাল দিয়ে সুষ্টভাবে পানি চলাচল করতে না পারায় খালের পার্শ্ববতী বাড়ীঘরে পানি ঢুকে পড়ার উপক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান গৃহবধুরা। এমনকি খালের উপর দোকানপাঠ,বাড়ী নির্মান করার ফলে পানি চলাচল করার তেমন জায়গাও নেই। অপরদিকে ঈদগাঁও-বাঁশঘাটা যোগাযোগের একমাত্র কাঠের সাঁকোটি গেল বন্যায় ঢলের পানিতে তলিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিশাল এলাকার অসহায় নারী পুরুষ ছাড়াও পোকখালী গোমাতলীর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে নানা কাজেকর্মে নৌকায় করে চলাচল করে যাচ্ছে।
এমনকি অনেকে প্রয়োজনীয় কাজেকর্মে জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারের আসছে বহু কষ্টের বিনিময়ে। এছাড়াও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর,ইউছুপেরখীল, বাঁশঘাটা পাঁহাশিয়াখালী, বোয়ালখালীসহ নানা গ্রামীন জনপদের প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার নর নারীরা অতিকষ্টের বিনিময়ে যাতাযাত করে যাচ্ছে। নৌকা দিয়ে ঈদগাঁও নদী পারাপার হতে গিয়ে অনেক সময় নৌকা উল্টে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। ব
র্তমানে কর্মমুখী লোকজন নদীর উপর ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক বান্ডি আজকের কক্সবাজারকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ভাঙ্গন পয়েন্টে বালির বস্তার সাহায্য মেরামত করে শিক্ষা প্রতিষ্টান,বিশাল এলাকাবাসী পানির কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। আরো জানান, কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা যদি ঈদগাঁও বাঁশঘাটা পয়েন্টে যদি পূর্বের ন্যায় একটি কাঠের সাঁকো নির্মান করে,তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেত। এক স্বর্ণ কর্মচারী জানান, দৈনিক নৌকা দিয়ে পারাপার কালে পাঁচ টাকা করে দশ টাকা দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে। ঝুকিঁতে প্রতিনিয়ত লোকজন পারপার হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও নদীর উপর সাঁকো নির্মান করে লোক জন চলাচলের সূর্বণ সুযোগ সৃষ্টি করা হোক।
পাঠকের মতামত: