আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র ইদগাঁও বাজারে বেপারোয়া বাণিজ্যে নেমেছেন চাল ব্যবসীয়দের অসাধু ও মোনাফালোভী সিন্ডিকেট। চাল ওজনে কম দেওয়া, পাথর-কংকরপূর্ন চালের বস্তা গছিয়ে দেয়া, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে নেয়া, পুরাতন চাল বলে নতুন চাল গছিয়ে দেওয়া ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদদারী ব্যাবসাসহ যাবতীয় দুই-নাম্বারী কাজ কারবারের মাধ্যমে ক্রেতা-ভোক্তাদের প্রতারিত করে এক এক জন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন এ“ চাল সম্্রাটরা”। অনুসন্ধানে প্রকাশ, সদরের পোকখালী মুসলিম বাজার ও গোমাতলী বাজার, ইসলামপুর বাজার, চৌফলদন্ডী বাজার, ভারুয়াখালী বাজার, ইদগাঁও কালিরছড়া ও নতুন বাজার, এবং রামুর ইদগড় ও মামুন মিয়ার বাজার, পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী বাজারসহ আরও অপারপর মফঃস¦ল বাজারের চাল ব্যবসীয়ারা ইদগাঁও বাজার থেকেই পাইকারী চাল সরবরাহ নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া বৃহত্তর ইদগাঁওর সাধাধাণ ক্রেতারাও প্রধান খাদ্য চালের জন্য ইদগাঁও বাজারের উপর নির্ভরশীল। ক্রেতাদের বিশাল এ চাহিদার প্রেক্ষিতে ইদগাঁও বাজারে গড়ে উঠেছে ৩০/৪০টি চালের দোকান। কিন্তু এ সব ব্যবসয়ীরা যাবতীয় অনিয়ম ও দুই-নাম্বারী কাজ-কারবারের মাধ্যমে ক্রেতাদের ঠকিয়ে চলছে। ভোক্তভোগী ক্রেতারা জানান, যখন তখন ঠুনকো অজুহাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে পকেটকাটা মুনাফা আদায় করা, এক ব্যান্ডের চাল অন্য ব্র্যান্ডের নামে অধিক মূল্যে গছিয়ে দেওয়াসহ রকমারী দূর্নীতি নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে চাল ব্যবসীয়দের। ইদগাঁও মাইজপাড়ার ক্রেতা শফিউল আলম জানান, চালে পাথর-কংকর থাকবেনা বলে গ্যারান্টি দিয়ে চালের বস্তা বিক্রি করলেও ভাত রান্নার পরে খাওয়ার সময় মুখের ভিতরে রীতিমত কংকর-পাথরের বিক্ষোভ মিছিল চলার পরে অনেকের দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। এভাবে ব্যবসার নামে ডাকাতিতে নেমেছে এই চাল সম্্রাটরা। শুধু মাত্র বিশ কেজি চালের মুলধন নিয়ে খুচরা ব্যবসা শুরু করে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে চালের বড় আড়তদারে পরিনত হয়ে গাড়ি-বাড়ী-ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বিপুল ধন সম্পদের মালিক বনে গেছে এরা। কিন্তু বন্ধ হয়নি চাল নিয়ে চালবাজী ও গ্রাহক ঠকানো। জনগুরুত্বপূর্ন ইদগাঁও বাজারের চাল সম্রাটদের অনৈতিক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বৃহত্তর ইদগাঁওবাসী ।
পাঠকের মতামত: