এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :: সদরের ঈদগাঁওতে যত্রতত্র স্থানে ওয়েল্ডিং কারখানায় ছেয়ে গেছে। মহাসড়কসহ নানা উপসড়কে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এ ওয়েল্ডিং কারখানায় ঝালাই কালে বিকট শব্দ ছড়িয়ে পরিবেশের দূষন এবং স্বাস্থ্যের মারাত্নক ক্ষতি করে। এমনকি কার খানায় আলোক ঝিলিকের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পথচারীরা। এছাড়া পরিবেশের উপর পড়ছে বিরুপ প্রভাব।
বানিজ্যিক শহর ঈদগাঁও বাজার,বাশষ্টেশন ও বাশঘাটা ঘুরে দেখা যায়, চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসষ্টেশন পয়েন্টে গরুর বাজারের সন্নিকট পয়েন্ট ও পাশ্বর্বতী স্থানে মহাসড়কের দু পাশ্বেই ওয়েল্ডিং কারখানা ছড়িয়ে ছিড়িয়ে রয়েছে। ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পাশ্বস্থ এলাকা ও বাশঘাটা নামক স্থানে এসব কারখানা রয়েছে। এই ওয়েল্ডিং কারখানায় খোলা স্থানে জনসম্মুখে দিবারাত্রি চলছে হরেক রকমের ওয়েল্ডিং কাজ। এ ছাড়াও প্রায়শ মহাসড়কের দুই পাশে নানা ধরনের যানবাহনের ওয়েল্ডিং কাজ, গাড়ীর পার্ট কাটা ছেড়া জোড়া দেয়া, পুরনো অকেজো যানবাহন জোড়াতালি দেওয়া সহ রং করনের কাজ করে থাকে।
এতে করে, সাধারন লোকজন, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়তে হচ্ছে। বাজারের দক্ষিন পাশ্ব এলাকায় উপ সড়কের দু পাশে গড়ে ওঠা ওয়েল্ডিং কারখানার কারনে পথ চারীদের যাতায়াতে ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি নানা শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা ও দুর দুরান্ত থেকে বাজারে সওদা করতে আসা লোক জন ছোটবড় দূঘটনার আশংকা প্রকাশ করেন।
আরো দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারসহ নানা স্থানে খোলা জায়গায় ওয়েল্ডিং কারখানায় কর্মরত কর্মচারীরা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় আলোক ঝিলিকের কারনে সাধারন পথচারীদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে,কৌতুহলী লোকজন,স্কুলগামী ছাএছাএীরা ওয়েল্ডিং কাজ দেখায় মুল্যবান চোখের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
পথচারীরা জানান, ওয়েল্ডিং কাজ করার সময় বহু দুর থেকে চোখে আলো পড়ে। এজন্য স্কুলগামী শিক্ষার্থী সহ সাধানর মানুষজনের চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার চোখ থেকে পানি পড়া, যন্ত্রনা,জ্বালাপোড়াও হতে পারে।
সচেতন লোকজন জানান, ওয়েল্ডিং কারখানা গুলোকে যদি সড়ক-উপসড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে একটু খোলা জায়গায় স্থান করে দিলে আলোর ঝলকানিতে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেত লোকজন। ওয়েল্ডিং কাজ করার সময় যে আলোকরশ্নি হয়, তাতে চোখের ক্ষতির হওয়া সম্ভবনা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মতে, জনপ্রতিনিধি, বাজার কতৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রসাশন যদি সচেতন হয়, তাহলে অসম্ভব কাজ সম্ভবে পরিনত হত। এ বিষয়ে এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষের সু নজর দাবী করেন।
পাঠকের মতামত: