ডেস্ক নিউজ ::
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুস সালাম তার এলাকায় পুলিশি হয়রানি বন্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গণি শাহজাহান। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন থেকে অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে আইডিবি ভবন এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতিকে আটক করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন আব্দুস সালাম।
ঘটনার পরপরই আব্দুস সালাম ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় তফসিল ঘোষণার পর যারা গ্রেফতার হয়েছে তা জানাতে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি শাহজাহানসহ অন্যদের নিয়ে কমিশনে এসেছিলাম। কমিশনে অভিযোগ দিয়ে আমি শাহজাহানকে আইডিবি ভবনের সামনে নামিয়ে গুলশান যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোবাইলে জানতে পারলাম ওকে নিয়ে গেছে। গত পরশুদিনও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারাদিন আমার সাথে থাকার পর যখন বাসায় যাচ্ছিল, তখনই এভাবে তুলে নিয়ে গেছে। এভাবে যদি চলতে থাকে আমরা নির্বাচনটা করবো কী করে।
বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালাম আরও বলেন, ঘটনা জেনে আমি ফিরে এসে সচিব সাহেবকে বললাম, আপনাকে গ্রেফতারের বিষয় জানিয়ে গেলাম। তারপর সঙ্গে সঙ্গে আমার দলের নেতা গ্রেফতার হলো। তাহলে কী নির্বাচন কমিশনও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। তাহলে আমরা কোথায় যাবো। নির্বাচন করবো কি, করবো না? নির্বাচনের অথরিটি হলো কমিশন। উনারা যদি অপারগ হন বলে দিক যে ‘আপনাদের কোন নিরাপত্তা আমরা দিতে পারবো না। আপনাদের কর্মীদের নামতে নিষেধ করে দেন। হয় নির্বাচন করেন, না হলে কইরেন না।’
তিনি বলেন, আমি সচিবকে বলেছিল হয়তো সাদা পোষাকে গোয়েন্দারা ধরে নিয়ে গেছেন। আপনারা খোঁজ নেন কারা নিয়েছেন। কোথায় নিয়েছেন। কথা বলেন, ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন।
তিনি জানান, ওসমান গণির বিরুদ্ধে পেন্ডিং কোন মামলা নেই। গায়েবি মামলা থেকেও তিনি বেলে আছেন। কিন্তু তারপরও গ্রেফতার হলো। এই যদি অবস্থা হয় কর্মীদের কী করে নির্বাচনে নামাবো। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতা বোধ করি। আমি ১০জন কর্মীকে নিয়ে আসবো। চলে যাওয়ার পর দেখবো তাদের ৫ জন নেই।
তিনি বলেন, আমি দেশবাসী ও ভোটারদের জানাতে চাই— আমাদের কর্মীরা কেউই নিরাপদ নয়। এমন অবস্থা হবে যে প্রার্থী হিসেবে আমাকে একা একা মাইক নিয়ে ঘুরতে হবে, ভোট চাইতে হবে। এরপর আমাকেও গ্রেফতার করে নেবে কী না সেটাও বুঝতে পারছি না।
নির্বাচন কমিশনে আসার পর যদি এই অবস্থা হয় তাহলো যাবো কোথায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। যতদ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে ইসির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সচিব বলেছেন তিনি বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানাবেন।
পাঠকের মতামত: