ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আলোর মুখ দেখেনি মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরি সার্ভিস

 কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরি সার্ভিস চালু করতে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনার ২ বছর অতিক্রম হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি এ প্রকল্প। ইতোমধ্যে মহেশখালী জেটি সংলগ্ন খাল ড্রেজিং ও বাকঁখালী নদী ড্রেজিং সম্পন্ন হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরী প্রকল্পের।

এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরি যোগাযোগ প্রকল্পের। ২০১৬ সালে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক মহেশখালীর খাল, বাকঁখালী খাল ড্রেজিং ও মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরী সার্ভিস চালু করতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বরাবরে চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) প্রেরণ করেন। মন্ত্রণালয় সাংসদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী মহেশখালী জেটি সংলগ্ম খাল ও বাঁকখালী খাল ড্রেজিং করেন। এই সাথে মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরী সার্ভিস চালু করতে সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়, বিআইডব্লিউটিসি’র প্রকৌশলীর সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে গঠিত টিম ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্মারক নং-১৮.০০০০০০.১৪.১৮.০৭৬.১৬-৯০২ মুলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। বিশেষজ্ঞ টিমের প্রতিবেদনে মহেশখালী ও কক্সবাজারের সাথে ফেরী যোগাযোগের জন্য খুরুস্কুল এবং গোরকঘাটা স্থানে ফেরীঘাট নির্মাণের মতামত দেয়। তাছাড়া প্রতিবেদনে ফেরী নির্মাণের সাথে জড়িত অন্যান্য কার্যক্রমেরও সুপারিশ করে। সুপারিশে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারি সচিব এস.এম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম।

এদিকে এই বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় মানুষের মাঝে হতাশা বেড়েছে। কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার রুহুল আমিন জানিয়েছেন, স্থানীয় সাংসদ ফেরীর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে একাাধিকবার চেষ্টা করলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা চাই অবিলম্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হউক। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহেশখালীতে একাধিক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। যার ফলে কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালীতে যেতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ফেরীর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে খুব সহজেই মহেশখালীতে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে খাল ড্রেজিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়ার পথে। তবে মহেশখালী জেটি সংলগ্ন এপ্রোচ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে নৌ-পরিবহনমন্ত্রীকে আবারো অবহিত করা হয়েছে।

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, একটি প্রকল্পও বাদ যাবে না। সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক চাহিদাপত্রের মাধ্যমে যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন চেয়েছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কাজে বিশ্বাসী।

পাঠকের মতামত: