ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আবুধাবি বাংলাদেশ স্কুলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা

ইউএই প্রতিনিধি ::

দেশের সাথে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২ টি বাংলাদেশ স্কুলে এস এস সি পরিক্ষা অনুষ্টিত হয়েছে। আবুধাবি বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার হল থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পরিক্ষা শুরু হয় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে, ৩০ মিনিট পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তা পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করলেও সময় অপরিবর্তিত থেকে যায়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন কেবলমাত্র দূতাবাসের এক কর্মকর্তার ছেলেকে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে করে শিক্ষাঙ্গনে পরিক্ষার্থী ও উপস্থিত অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেককেই অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে হট্টগোল করতে দেখা যায়।

স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় আবুধাবী বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্ববধানে শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামীয়া স্কুল এন্ড কলেজে ৪২ ও দুবাই কন্সুলেটের তত্ত্বাবধানে রাস-আল-খাইমা বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজে ২৭ জন শিক্ষার্থী এবার পরিক্ষায় অংশ নেন।

এদিকে আবুধাবী শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামীয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসানের কাছে পরিক্ষার্থীর সংখ্যা কত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। হলে সাংবাদিকদের প্রবেশে গড়িমশি করেন। পরে অধ্যক্ষ ৪২ জন পরিক্ষার্থী এবারে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন বলে লিখিত জানালেও পরিক্ষা শেষ হওয়ার পনের মিনিটি আগে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ডাক্তার মোহাম্মদ ইমরানের সাথে সাংবাদিদেরা হলে প্রবেশ করে দেখতে পান ৩৯ জন পরিক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কৌশলের আশ্রয় নেন। এসময় দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর শহিদুজ্জামান ফারুকী, আমিরাত বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যক্ষের কাছে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করা হয়নি কিন্তু পরে নজরে আসলে প্রশ্নপত্র পরিবর্তণ করে পরিক্ষা নেয়া হয়েছে বলে জানান।পরিক্ষার্থীদের মাঝে কোন প্রভাব পড়বেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এবিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে জানেন না বলে জানান, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন এই প্রতিবেদকে ।

পাঠকের মতামত: