নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের বর্ষিয়ান মাহমুদুল করিম চৌধুরী, জন্ম ১৯৩৮সালে ততকালীন চকরিয়া (বর্তমান পেকুয়া) উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে।
তিনি কক্সবাজার জেলার কিংবদন্তী রাজনৈতিক নেতা। তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা ও সাধারণ মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারনে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নেন।
১৯৭৯ সালের ততকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-কুতুবদিয়া আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তার মেধা শ্রম ও রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কারনে তিনি এক সময় হয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এবং কি একসময় তিনি কক্সবাজার জেলার (জাগ) দলের সভাপতি পরে কক্সবাজার জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, জাতীয় সংসদের ভুমি সংস্কার কমিটির সভাপতি, জাতীয় মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দীর্ঘদিন অবিভক্ত মগনামার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও তিনি অবদান রাখেন।
তিনি চকরিয়া কুতুবদিয়ার মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন করেন। এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যু বরন করেন। তার পর তার সন্তান শাফায়েত আজিজ রাজু পেকুয়া উপজেলার দুই দুই বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পেকুয়ার মানুষের পাশে ছিলেন। গত নির্বাচনে তার দল স্থানীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় তিনিও এবারে নির্বাচনে অংশ নেননি। তিনি তার পিতার স্বপ্ন পুরনে কাজ করে যাচ্ছেন।
শাফায়েত আজিজ রাজু চকরিয়া নিউজকে বলেন, আমার পিতা যেমন এদেশের মানুষের জন্য জীবনভর কাজ করে গেছেন আমি ও চেষ্টা করছি আজিবন মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে ।
তিনি আরো বলেন এই ছাড়া ও আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেচেঁ আছি। মানুষের ভালোবাসাই হলো বেচেঁ থাকার একমাত্র অবলম্বন । এইদিকে প্রয়াত মাহমুদুল করিম চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকী খতমে কোরআন দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ।
পাঠকের মতামত: