ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ উধাও কক্সবাজারে

জাহাঙ্গীর আলম শামস :: কক্সবাজারে বিদ্যুৎ বিতরন ও সবরাহ ব্যবস্থা বারবারই চরম বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে কয়দিন ধরে।ভোগান্তিতে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ‘

আকাশে মেঘ জমলে এ কক্সবাজার সদর উপজেলাসহ পল্লী বিদুৎতের আওতায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়’ এ প্রবাদ থেকে বের হতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি চরম আকারে দেখা দিয়েছে, চলতি মৌশুমে কক্সবাজার আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। তখন এই বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে নয়তো লাইনের উপর গাছগাছালি পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নতুবা ত্রুটি দেখা বিদ্যুৎ লাইনে। এই হলো কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুতের নিত্যদিনের চিত্র।

বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই সদর উপজেলাবাসী এমনই দুর্ভোগে ভুগছেন। গত কয়েকদিন থেকেই পল্লীবিদ্যুতের এই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছেন গ্রাহকরা। লোডশেডিংয়ের ফলে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সেচের চাষীরা, তেমনি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রাহক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। দিনে অন্তত: ১০ থেকে ১৫ বার পল্লীবিদ্যুতের এই লোডশেডিং চলছে। কালবৈশাকীর ঝড়বৃষ্টির দাপট শুরুর আগেই বিদ্যুতেই এই আসা যাওয়া যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মুহিব উল্লাহ সিকদার নামে পল্লীবিদ্যুতের এক গ্রাহক বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ অপরিকল্পিত ভাবে তাদের সঞ্চালন লাইন টেনেছে। যার মাসুল এখন গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে এই লোডশেডিং হত না।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তাঁরের টেম্পার নেই। বেশির ভাগ খুঁটিও দুর্বল। হালকা বাতাস এলেই তাঁর ছিড়ে অথবা খুঁটি পড়ে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় জোড়াতালি দিয়েই কোনো মতে চালানো হচ্ছে কক্সবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহর কার্যক্রম। আকাশে সামান্য মেঘ জমলেই এবং মাঝারি বেগে হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলেই কক্সবাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আতঙ্কে ভূগেন- এই বুঝি বিদ্যুৎ উধাও হয়ে গেল। আর একবার গেলে ঘন্ট থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসে না। এমনকি মসজিদে আজান শুরুর মধ্যেই হঠাৎ করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ।

বিদ্যুতের এই আসা যাওয়ার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা সদরের বিদ্যুতের গ্রাহক ব্যবসায়ী নুরুল আজিম খাঁন জানান, একটু দমকা বাতাস বইলে বিদ্যুৎ থাকে না। সঙ্গে প্রতিদিনের দীর্ঘ লোডশেডিংতো আছেই। তাছাড়া নানা অজুহাতে প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ঠিকমতো ব্যবসা বাণিজ্যও করা যাচ্ছে না। চলমান করোনা কালিন অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ভারচুয়াল পড়ালেখাসহ নানা ব্যাঘাত ঘটছে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আখতারজ্জমান লস্কর জানান প্রবল ধমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হলে যান্ত্রিক ক্রটির দেখা যায় তাই সামন্য লোডশেডিং হয় ,স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে ।

পাঠকের মতামত: