মো: সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :: আসন্ন চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে ইচ্ছুক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যহার করেছেন। আজ ২৪ মার্চ বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচন-২১ এর রিটানিং কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর কার্যালয়ে ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্হাোর করে নিয়েছেন। তবে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া দলের বিদ্রোহী কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করার মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অমান্য করেছেন বলে দাবী জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের।
বর্তমানে এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও কাউন্সিলর সাধারণ পদে ৪৯ জনপ্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে দাগী আসামী ও অবৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের আশংকা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
নির্বাচনে অংশ নেয়া ৪ মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী, জাতীয় পাটি (জাপা-এ) নাঙ্গল প্রতীকে মনোয়ার আলম, আওয়ামীলীগ নেতা ও স্বতস্ত্র মেয়র প্রার্থী ৬ নং ওয়ার্ডে র বর্তমান কাউন্সিলর ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদের ভাতিজা মোহাম্মদ জিয়াবুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট ফয়সাল ছিদ্দিকী। উল্লেখ্য জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার আলম আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ফের মাঠে নেমেছেন আজ থেকে ।
নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আজ ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর ধারাবাহিকতায় কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন প্রত্যহার করেছেন, ১ নং ওয়ার্ডে র সাবেক কাউন্সিলর নুরুল হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলম, ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আওয়ামীলীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদুল আলম জানায়, এবারে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য সবকিছু সম্পন্ন করেছেন। তবে মায়ের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বর্তমানে এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও কাউন্সিলর সাধারণ পদে ৪৯ জনসহ মোট ৬৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন-২১ এর সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানায়, কাল ২৫ মার্চ প্রার্থীরা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ পাবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭২৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছে ২৫ হাজার ৮৯৯ জন। মহিলা ভোটার হচ্ছে ২২ হাজার ৮২৫জন।
বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সাথে অবিরাম কৌশল বিনিময় করছে। অনেকে উঠান বৈঠকের মধ্যদিয়ে নিজ নিজ পক্ষে সমর্থন আদায় করলে ও আসল লড়াই হবে ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহনের দিনে।
ইতিমধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম লাইনে লিখেছেন, চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রধারীরা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনকে বিশৃংখলার দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করতে পারে।এ জন্য থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।
আসন্ন চকরিয়া পৌরসভার এ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি ও নির্বাচনকে উৎসব মূখের পরিবেশ ফিরে আনতে অনেকটা বেগ পেতে হতে পারে।
স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন, এ নির্বাচনকে ঘিরে ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডে অবৈধ অস্ত্রধারী, দাগী আসামী, পলাতক আসামী, ইয়াবা সিন্ডিকেট, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।
পাঠকের মতামত: