সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের এক স্কুল ছাত্র অজ্ঞান পার্টির খপ্পর থেকে একদিন পর পিতা-মাতার কাছে ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। অপহৃত ওই ছাত্র ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ১০ম শেণিতে অধ্যয়নরত। ইসলামাবাদের সিকদার পাড়ার দিন মজুর আবুল কাশেম জানান, তার স্কুল পড়–য়া ছেলে এরশাদ ৪ এপ্রিল বিদ্যালয়ে গিয়ে ফিরে না আসায় তারা আত্মীয় সজনসহ সম্ভাব্য সবস্থানে খুঁজতে থাকে। এমনকি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর এরশাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তারা আরও বেশী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু ৫ এপ্রিল দুপুরের দিকে হঠাৎ এরশাদ অন্য একটি নাম্বার থেকে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে বাড়িতে ফিরে আসে।
এরশাদ জানায়, ৪ এপ্রিল স্কুল ছুটির পর সে ঈদগাঁও বাসস্টেশন থেকে তার মামার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চকরিয়া গামী একটি খালি মাইক্রোবাসে উঠে। বাসটি আর কোন যাত্রী না নিয়ে ছেড়ে দেয়। কিছুদুর যাওয়ার পর খোদাইবাড়ী নুরুল হুদা সড়কের সামনে মাইক্রোবাসটি থামলে যাত্রী বেশে ৩ যুবক গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর তারা তাকে কোথায় নিয়ে গেছে সে আর কিছু বলতে পারেনা। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটায় কক্সবাজার কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনিতে ঘুমন্ত অবস্থায় লোকের ডাকাডাকিতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে আরও জানায় ঘুম ভাঙ্গার পর সে জায়গা চিনতে পেরে ঈদগাঁও অভিমূখী বাসে করে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে চলে আসে এবং তার বাবার কাছে ফোন করে বাড়িতে ফিরে আসে। এ ঘটনায় ঈদগাঁওয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একধরনের অজানা আতঙ্ক কাজ করছে। ৬ এপ্রিল সে বিদ্যালয়ে ফিরে আসলে সহপাঠি ও শিক্ষকদের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে।
এরশাদের পিতা জানান, ছেলের মামাকে দেয়ার জন্য ছেলেকে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে ছিলেন কিন্তু দূর্বত্তরা তার মোবাইল ও টাকা নিয়ে ছেলেকে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। তবে ছেলেকে জীবিত পাওয়ায় তিনি সৃষ্টি কর্তার কাছে কৃজ্ঞতা জানিয়েছেন। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের স্টুডেন্ট কেবিনেট প্রতিনিধি ফয়সাল ও নাবা জানায় ছেলে ধরা গুজব আমরাও শুনেছি তবে এ ধরনের কোন ঘটনা চোখে পড়েনি। অপরদিকে ঈদগাঁওতে গত কয়েকদিন ধরে ছেলে ধরা আতঙ্কের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া এ ধরনের কোন সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ তিনিও পাননি বলে জানান।
পাঠকের মতামত: