মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম :: বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নব নিয়োগপ্রাপ্ত ২৬জন সহকারি শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। শনিবার (১০ আগস্ট) উপজেলা পরিষদ হলরূমে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মহাজন।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সহকারি ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মুসাব্বির হোসেন খান।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিষ মহাজন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ও আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে আলীকদম উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার ওপর সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র তুলে ধরেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মুসাব্বির হোসেন খান।
তিনি বলেন, আলীকদমে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে নব জাতীয়করণকৃত ২০টি বিদ্যালয়সহ মোট ৫০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব স্কুলে সহকারি শিক্ষকের পদসংখ্যা ২৪৮টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদসংখ্যা ৫০টি। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক মিলে সর্বমোট ২৯৮ জন শিক্ষক নিয়ে আলীকদমের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরো জানান, নতুন জাতীয়করণ ২০টি বিদ্যালয়ে ২০ জন এবং পূর্বের স্কুলসমুহে ১২জন মিলে ৩২টি প্রাক-প্রাথমিকে শূন্যপদ ছিল। এছাড়াও রাজস্ব খাতে ৭টি পদে ৭জন মিলে মোট ৩৯ জন সহকারি শিক্ষকের শূন্যপদে পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে ২৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৬ জন সহকারি শিক্ষক যোগদান করেন। ১ জন শিক্ষক যোগদান করেননি। যোগদান ২৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬জন রাজস্ব খাত থেকে এবং ২০জন পিডিইপি-৪ ফান্ডের আওতায় বেতন-ভাতা পাবেন। পিডিইপি-৪ ফান্ডের মেয়াদ শেষ হলে ২০ জন শিক্ষক রাজস্বখাতের আওতায় অন্তর্ভূক্ত হবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়িমং মহাজন বলেন, শুধুমাত্র একটি পেশার আগেই ‘মহান’ শব্দটি যোগ হয়, সেটি হচ্ছে শিক্ষকতা পেশা। তাই শিক্ষকের মর্যাদা অন্যসব পেশা থেকে ভিন্নতর। শিক্ষকের মর্যাদা সর্বাগ্রে। তাই নৈতিক আচরণও হতে হবে অনন্য। তিনি বর্তমান সরকারের ভিশন ও মিশনকে সামনে রেখে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সংবর্ধিত শিক্ষকদের অনুরোধ জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে অনেক বিদ্যালয়ে আমরা মা সমাবেশ করেছি। এ উপজেলায় একটি সুসংহত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, এ উপজেলায় আমার কর্মকালীন সময়ের মধ্যেই ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ সম্পন্ন করবো ইনশাল্লাহ। এ উপজেলায় শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে একটি মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা ‘অগ্রযাত্রায় আলীকদম’ কর্মসূচীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। উপজেলার বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরে মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ‘অগ্রযাত্রায় আলীকদম’ কর্মোদ্যোগকে এগিয়ে যাবো।
পাঠকের মতামত: