প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর, বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াত আমির আলহাজ্ব সাইদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী জননেতা শামসুল আলম বাহাদুর। আরো উপস্থিত ছিলেন, শহর জামায়াত এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ মুহসিন, রিয়াজ মুহাম্মদ, জামায়াত নেতা ফরিদুল আলম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার অঙ্গীকার গ্রহণের তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সেনা সদস্য ও সাধারণ মানুষ সম্মিলিতভাবে ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু-আকবার’ ধ্বনিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐ সময়ের দেশ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল। স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র-মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যের পরিবর্তে বাকশাল কায়েম, বাকস্বাধীনতা হরণ এবং দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করার প্রেক্ষাপটে জনগণ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বহু-দলীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করে গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তি দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সরকার জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায়। সরকারের ওপর জনগণের অনাস্থার কারণে জঘন্য গুম-হত্যা ও গ্রেফতার-নির্যাতনে জনগণ বিম্মিত ও সোচ্চার হলেও তারা ন্যায়বিচারের আশা করতে পারছে না। কারণ, সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে রাজনৈতিক হয়রানীর মাধ্যমে বিরোধী দলকে কোনঠাসা করছে। তাই ৭ নবেম্বরের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা করে গণতন্ত্রের পথে সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।
পাঠকের মতামত: