ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

 ৪০হাজার মানুষের যাতায়তের একমাত্র ‘হারিয়াখালী-শাহপরীরদ্বীপ সড়কের সংস্কার শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহে’ শুরু

জসিম মাহমুদ, টেকনাফ প্রতিনিধি ::  টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ সড়কের সংস্কার কাজ চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে। এতে করে প্রায় সাড়ে সাত বছরের ভোগান্তির অবসান হতে চলছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জে.কে এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারি আব্দুল জব্বার চৌধুরী।

গত ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের দৈঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের সভায় অনুমোদিত টেকনাফের হারিয়াখালী-শাহ পরীর দ্বীপ সড়কের সংস্কার কাজের প্রকল্পটি। সভায় ৬৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১২ সালের ২২ জুলাই এ সড়কটির পাঁচ কিলোমিটারই জোয়ারের তোড়ে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে কাপেটিং উঠে গিয়ে সড়কের কোনো ধরনের অস্তিত্ব নেই। এর পর থেকে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।

সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, শাহপরীর দ্বীপের ৪০হাজার মানুষের বসবাস। র্দীঘ সাড়ে সাত বছর ধরে বষা মৌসুমে কোনো রকমে নৌকায় করে এ পাঁচ কিলোমিটার পার হয়ে সড়কের আরেক পাশে উঠতে হয়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে সেই সুযোগ ও থাকে না। এরমধ্যে নৌকা ডুবির ঘটনায় এ অংশে ১৩জন শিশু মারা গেছে। এ সড়কটি কত গুরুত্বর্পূণ তা এতে বুঝা যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজার সূত্র জানায়, শাহ পরীর দ্বীপ সড়ক সংস্কারের প্রকল্পটি দরপত্র আহবান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে.কে এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটির বরাদ্দ পায়। উক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শিডিউল মতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে,কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও চট্টপ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরেজমিনে প্রকল্পটি পরিদর্শন করতে শাহ পরীর দ্বীপে আসেন।

পরিদর্শনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল জব্বার চৌধুরী জানান, সবদিক বিবেচনা করে এ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে সড়কটি চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দ্বীপের বাসিন্দা ও প্রবীন শিক্ষক জাহেদ হোসাইন বলেন, ভাঙা এই সড়কে দ্বীপের মানুষের সাড়ে সাতটি বছর নানান ধরনের ভোগান্তি ও কষ্টে পার পেয়েছে। অবশেষে সড়কটি কাজ শুরু হতে যাচ্ছে শুনে দ্বীপে বসবাসকারীদের মধ্যে ঈদের আনন্দ দেখা যাচ্ছে।

দ্বীপের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা সোনা আলী বলেন, ভাঙা এই সড়কে দ্বীপের মানুষ ৭ বছর কষ্ট পেয়েছে। অবশেষে সড়কের কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে শুনে দ্বীপবাসী খুবই আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, হারিয়াখালী থেকে শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি ৬৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়য়ে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহে এ সড়কে কাজ শুরু হবে বলে আমিও আশাবাদী।

পাঠকের মতামত: