ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

৪টি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে পরিবার বলছে একরামের মৃত্যু ‘পরিকল্পিত হত্যা’

অনলাইন ডেস্ক ::

মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের সঙ্গে টেলিফোনে ‘শেষ কথোপকথনের’ যে অডিও রেকর্ড তার পরিবার প্রকাশ করেছে, তাতে পুরো মাদকবিরোধী অভিযান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। চারটি ক্লিপ মিলিয়ে ১৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডে কয়েকজনের কণ্ঠ, গুলির শব্দ আর চিৎকার সাংবাদিকদের শুনিয়ে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেছেন, তার স্বামীকে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করা হয়েছে। একরামের পরিবারের দেওয়া ওই অডিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। তার বড়ভাই নজরুল ইসলাম বলেছেন, একরামের ফোন খোলা ছিল বলে এ প্রান্তে পুরো ঘটনাপ্রবাহ রেকর্ড হয়েছে ফোনের অটোরেকর্ডারে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের সব হত্যাকাণ্ডের বিচারিক তদন্ত হওয়া দরকার। আইনকে ‘পাশ কাটিয়ে’ কাজ করতে গেলে যে বিপদ ঘটতে পারে, একরামের ঘটনায় তা ‘স্পষ্ট হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান একে বর্ণনা করেছেন ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে। সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৩ দিনে নিহত ১২২ জনের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক একজন, যিনি গত ২৬ মে রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য। টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুলকে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণনা করা হয় ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’ এবং ‘ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার’ হিসেবে। তবে তার পরিবার বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম তার দুই মেয়েক নিয়ে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের কথা বলে সেই রাতে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা। পরে মেরিন ড্রাইভে নিয়ে একরামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চারটি অডিও ক্লিপ সংবাদ সম্মেলনে শুনিয়ে আয়েশা বলেন, সেখানে শুরুতে মেয়ের সঙ্গে একরামের কথা, পরে তার নিজের কণ্ঠ রয়েছে। এরপর ও প্রান্তে গুলির শব্দ, পুলিশের সাইরেন, চিৎকার–হাঁকডাক ও গালিগালাজ এবং এ প্রান্তে নারী ও শিশুদের আহাজারি মিলিয়ে রোমহর্ষক এক পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া যায় ওই অডিও রেকর্ডে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে র‌্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘অডিওটা আমরা শুনেছি। অনেক রকমের অডিও হয়, বিষয়টি আমরা দেখছি।’ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি অডিওটি এখনও শুনিনি। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছে। যেহেতু এরকম একটি কথা এসেছে, এটা তো ইনকোয়ারি ছাড়া কিছু করা যাচ্ছে না। আমি বিষয়টি ইনেকোয়ারি করে দেখব।

যা আছে অডিওতে :

সংবাদ সম্মেলনে একরামের স্ত্রী আয়েশা বলেন, সেদিন রাত ১১টা ৩২ মিনিটের পর তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর সেটা যে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে,মোবাইলের ওই রেকর্ড যাচাই করলেই তা বোঝা যাবে। তিনি দাবি করেন, একরাম ইয়াবার কারবারে জড়িত ছিলেন না। তার ব্যাংক ব্যালেন্স বা সম্পদেও অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে আয়েশা তার দুই মেয়ের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন সরকারপ্রধানকে। আয়েশার বিবরণ অনুযায়ী, একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার ক্রমাগত ফোন পেয়ে ২৬ মে রাত ৯টার দিকে একরাম বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১১টার সময়ও বাড়ি ফিরে না এলে তার মেয়ে ১১টা ১৩ মিনিটে ফোন করে তার বাবাকে। অডিওতে শোনা যায়, মেয়ে জানতে চাইছে তিনি কোথায় আছেন। জবাবে বাবা বলেন, ‘মেজর সাহেব’ ডেকেছিলেন, ওখান থেকে তিনি টিএনও (ইউএনও) অফিসে যাচ্ছেন। টিএনও অফিস থেকে আসতে দেরি হবে কি না– মেয়ের সেই জিজ্ঞাসায় বাবা বলেন, দেরি হবে না। এরপর ফোন কেটে যায়। রাত ১১টা ১৪ মিনিটে একরামের মেয়ে আবারও ফোন করে জানতে চায় তিনি কোথায় আছেন। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর আসে, ‘আমি টিএনও (ইউএনও) অফিসে যাচ্ছি তো, আমি চলে আসব আম্মা।’ ফিরতে কতক্ষণ সময় লাগবে– মেয়ের এ জিজ্ঞাসায় অপর প্রান্ত থেকে উত্তর আসে, ‘বেশিক্ষণ লাগবে না, আমি চলে আসব ইনশাল্লাহ, ঠিক আছে? ঘুমাও।’

রাত ১১টা ৩২ মিনিটে আবারও মেয়ে ফোন করলে তার বাবা বলেন, হ্নীলায় যাচ্ছেন। কেন সেখানে যেতে হচ্ছে জানতে চাইলে উত্তর আসে, তিনি ‘জরুরি কাজে’ যাচ্ছেন। মেয়ে তার কাছে আবারও জানতে চায়– কেন? ধরা গলায় জবাব আসে, ‘যাচ্ছি আম্মু ঠিক আছে– যেতে হচ্ছে তা–।’ মেয়ে তখন জানতে চায়, তার বাবা কেন কাঁদছে। এই অবস্থায় ফোন নেন আয়েশা। তিনি হ্যালো হ্যালো করতে করতেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে আবার ফোন করেন একরামের স্ত্রী। ফোন রিসিভ হওয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করতে থাকেন যেন একবার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। ফোন রিসিভ হলে আয়েশা বলেন, ‘হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো কে? হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো আমি কমিশনারের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি। হ্যালো কে ওইটা, ফোন রিসিভ করছে ওইটা কে? আমি উনার মিসেস বলতেছি, হ্যালো, হ্যালো।’

এমন সময় ফোনের অপর পাশে কাউকে বলতে শোনা যায় ‘ তুমি যেটা বলছ, জড়িত না? কেউ একজন বলেন, নাহ। এরপর অগ্নেয়াস্ত্র কক করার শব্দ এবং দুটি গুলির শব্দ শোনা যায়। সেই সঙ্গে মরণাপন্ন কারও চিৎকার। ওই আওয়াজে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন একরামের স্ত্রী ও মেয়েরা। আয়েশা বলেন, ‘ও আলহ্মা আমার জামাই কিছু করে নাই। আমার জামাই কিছু করে নাই। আমরা বিনা দোষী। আমার জামাই, আমার হাজব্যান্ড কিছু করে নাই, আমার হাজব্যান্ড কিছু করে নাই।’ এ সময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কয়েকজনের কথা শোনা গেলেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। বার বার বাঁশির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে গালিগালাজের আওয়াজও শোনা যায়। এক পর্যায়ে একরামের স্ত্রী চিৎকার করে জানতে চান– ‘আপনারা কোথায়, আপনারা কোথায়।’ অপরপ্রান্তে বাশির শব্দ বাড়তে থাকে। গালিও শোনা যায়। কাঁদতে কাঁদতে আয়েশা বলতে থাকেন, ‘আমার জামাই কিছু করে নাই। কমিশনার কিছু করে নাই। আপনারা শুয়ারের বাচ্চা কেন বলতেছেন? উনি কিছু করে নাই। আমার হাজব্যান্ড কিছু করে নাই, কমিশনার কিছু করে নাই, উনাকে কেন মারতাছেন? আপনারা উনাকে কেন মারতাছেন?’

অন্য প্রান্ত থেকে কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা গেলেও তাদের কথা বোঝা যাচ্ছিল না। কিছু একটা খুঁজে বের করতে কেউ নির্দেশ দেন। এরপর একজন বলেন, বাড়ি কই বাড়ি? এরপর গাড়ির সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। পরে আরও তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে অকথ্য গালি। ফোনের এ প্রান্ত থেকে আয়েশা বলতে থাকেন, তার স্বামী কিছু করেনি, কেন তাকে মারা হচ্ছে। এক পর্যায়ে ‘খোসাগুলো’ খোঁজার কথা বলা হয় ফোনের অন্য প্রান্তে। পরে থেমে থেমে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। একজন বলেন, ‘আর লাগবে না, খোসাগুলো দেখ।’ ১০ রাউন্ড গুলির কথা বলেন একজন। খোসা খোঁজাখুঁজি করেন। আটটি খোসা খুঁজে পাওয়ার কথা জানান একজন। সাইরেন বাজতে থাকে। আরও খোসা খুঁজে পাওয়ার কথা জানানো হয়।

অভিযানটি প্রশ্নবিদ্ধ :

একরামের পরিবারের দেওয়া ওই অডিও ক্লিপের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটা সাংঘাতিকভাবে সমগ্র অভিযানটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এর বৈধতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, যারা আমরা মানবাধিকারের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত বা সাধারণ মানুষ যারা প্রথমদিকে এ অভিযানকে খুবই সমর্থন জানিয়েছিল, তারা তো বুঝতে পারছেন এভাবে আইনকে পাশ কাটিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে যে কোনো সময় যে কারো ঘরে বিপদ হতে পারে। এটা বোধ হয় এ ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে।এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, সত্য উদঘাটন করা এবং দোষীদের যদি শনাক্ত করা যায়, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সরকারকে তিনি পরামর্শ দেন, ‘সামগ্রিকভাবে এ অভিযানকে বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী না বলে এটা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে সেটা বিবেচনায় রেখে কীভাবে আইনের আওতায় নিয়ে এসে অভিযান পরিচালনা করা যায় সেই কাজটি এখন করতে হবে। মিজানুর রহমান বলেন, অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান, অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলা যায় না। তার যৌক্তিকতাও নেই। কিন্তু যাই করা হোক, তা হতে হবে আইন মাফিক। সেখানে কোনো কম্প্রমাইজ হতে পারে না। আমরা বলতে চাই, অভিযান চলুক। কিন্তু যার যেটা কাজ– অপরাধীকে ধরবে, শনাক্ত করবে। আইনের আওতায় নিতে আসতে হবে। আইন মাফিক আদালতে তাদের বিচার হবে। এ বিচারের বাইরে গিয়ে তাদেরকে শাস্তিদান করার যে নির্বাহী ক্ষমতা, এটাকে রদ করতে হবে। এটি হলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। মানবাধিকার থাকে না। এটি থাকলে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় থাকে।

কক্সবাজারের ওই ঘটনার তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, যদি ভুল করেও একরামকে হত্যা করা হয়ে থাকে, যদি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে, তাহলে এর পেছনে কারা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ‘শুধু ভুল হয়ে গেছে, এমন হতেই পারে, একটা দুটো এরকম হতে পারে– এমন কথা কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা হতে দেওয়া যায় না কোনো সভ্য সমাজে। মিজানুর বলেন, একরামের পরিবার যে অভিযোগ এনেছে, তা সত্য কি মিথ্যা সেটা প্রমাণ হবে বিচারের মাধ্যমে।

উনি মাদক ব্যবাসায়ী যদি হয়েও থাকে, কীভাবে বন্দুকযুদ্ধ হল? উনি তো গুলি করেননি। সেখানে তো আত্মরক্ষার প্রশ্ন ছিল না। তাহলে তাকে কেন গুলি করে হত্যা করা হল? এ হত্যার নির্দেশ কে দিল? নির্দেশটা কে পালন করল? তারা উভয়ই সমান অপরাধী। তারা তো আইনের দণ্ড থেকে মুক্তি পেতে পারেন না।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনি একরামের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের খবর পড়েছেন, তবে অডিও শোনেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ অপরাধী কি না– তা নিশ্চিত হলেও তাকে হত্যা করা যায় না। সেজন্য তাকে আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। কোথাও যদি কাউন্টার ফেইস করতে হয় তবে আইনের বিধান মেনেই ফেইস করতে হবে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করাতে হবে। কক্সবাজারে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটার জন্য একটা মেজিস্ট্রেসি তদন্ত হওয়া উচিত। কারও বেঁচে থাকার অধিকার যাতে লংঘিত না হয়– সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারকে তাগিদ দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সারাবিশ্বে কোথাও ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদক নিয়ন্ত্রণে বা অন্য কোনো অপরাধ দমনে কার্যকর পদ্ধতি বলে প্রমাণিত হয়নি। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আইনকে পাশ কাটিয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি ‘যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা’ পাচ্ছে, তা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠতে পারে তিনি সতর্ক করেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন লঙ্ঘন হচ্ছে, সংবিধান লংঘন হচ্ছে। একই সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইনের লঙ্ঘনকে যেভাবে অনানুষ্ঠানিক বৈধতা দেওয়া হচ্ছে তা দেশের ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। কক্সবাজারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, আত্মার জন্য পাল্টা গুলি চালানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তার সত্যতা নিরূপণে কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা আমাদের জানা নেই। পাশাপাশি প্রচলিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই বন্দুকযুদ্ধে যেভাবে তালিকাভুক্তরা নিহত হচ্ছে, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

পাঠকের মতামত: