নারীরা কত বছর বয়সে কুমারীত্ব বিসর্জন দেন? এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশরা বিছানার বিষয় নিয়ে আত্ম-সমালোচনা করে। তারা যৌন জীবন নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি খোলামেলা কথা বলেন। আগের চেয়ে বেশি সংখ্যাক যৌন সঙ্গী-সঙ্গিনীকে সময় দিচ্ছে তারা। তাই যখন কুমারীত্ব খোয়ানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, তখন এটাকে লুকানোর প্রয়োজন মনে করে না নারীরা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গড়ে পুরুষরা কৌমার্য হারান ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে। আর মেয়েরা আরেকটু বেশি বয়সে হারান, ১৭ বছর ৪ মাস বয়সে। কিন্তু মানুষ এখন যৌনতা নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়স থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে শুরু করেন। ১৯৫০ এর সময় যৌনকর্ম করার গড় বয়স ছিল ২১ বছর। কিন্তু ১৯৮০ এর সময়ের দিকে এ বয়স ১৭তে নেমে আসে। আসলে সবার কিছু টিনএজ সময়ে সেক্স করার সুযোগ ও মানসিকতা গড়ে ওঠে না। এ ছাড়া অনেকের জন্যই তা এক জটিল বিষয়।
ব্রিটিশ চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টরির বদৌলতে ৪০ বছর বয়সী কুমারী নারীর বিষয়টি সবাই মোটামুটি জানেন। কিন্তু জীবনের অর্ধেকটা সময় ধরে কুমারী থাকার বিষয়টি কেমন?
থ্রিলিস্ট এর জন্য কিছু লিখছিলেন রেবেকা গোল্ডেন। সেখানে তিনি জানান, ৩৫ বছর পর্যন্ত তার কুমারীত্ব ছিল। এর জন্য অবশ্য নিজের দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে দায়ী বলে মনে করেন। ৩৩ বছর বয়সে তার দেহের ওজন ৬০০ পাউন্ড। ৩৪ বছর বয়সে তার গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি হয়। অপ্রয়োজনীয় অনেক ত্বক ফেলে দেওয়া হয়।
৩৫ বছর বয়সে তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তিনি ডেটিং দুনিয়ায় যোগ দেন। অবশ্য প্রথমে রেবেকার বেশ সমস্যা হচ্ছিল। কারণ একজন পুরুষ যিনি কিনা বন্ধুর চেয়ে বেশিকিছু হয়ে উঠবেন, সে বিষয়টি তার কাছে নতুন কিছু ছিল।
অবশেষে তার দেখা হয় স্টিফেনের সঙ্গে। আর এই মানুষটির কাছেই তিনি কুমারীত্ব বিসর্জন দেন। কিন্তু একজন নারীর যদি যৌনতার অনুভূতি পেতে ৩০ বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়, তবে এটা কি স্বাভাবিক হতে পারে একজন মানুষের জীবনে?
পাঠকের মতামত: