এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে বিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে নীলনকশার নির্বাচনের আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে কমিটির বর্তমান সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে নির্বাচনের ফলাফল অনুকুলে নিতে স্বামী দেশে থাকলেও বিদেশে আছে এ ধরণের অজুহাত দেখিয়ে মর্জিনা আক্তার নামের এক নারীকে কৌশলে ভোটার করেছে। অভিযোগ রয়েছে, মর্জিনা আক্তারকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিদ্যালয়ের নারী অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত করার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি আবারও পদ ভাগিয়ে নিতে অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছে।
অনিয়মের এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চকরিয়ার ইউএনও’র দপ্তরে লিখিত অভিযোগে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দাবি করেছেন, বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজসের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের ফলাফল নিজেদের অনুকুলে আনতে বিভিন্ন ধরণের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাঁরা অভিভাবক সদস্য আবদুল মালেক দেশে থাকলেও বিদেশে রয়েছে এ ধরণের বানোয়াট তথ্য দিয়ে তাঁর (মালেক) স্ত্রী মর্জিনা আক্তারকে চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার করে নিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করার আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদেরকে পড়ে শুনানোর নিয়ম থাকলেও তা করেনি। পক্ষান্তরে অনেকটা গোপনে মর্জিনা আক্তারকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নারী সদস্য পদে নির্বাচিত করে বর্তমান সভাপতি আবারও পদ ভাগিয়ে নিতে অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ তুলেছেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে অনেক সিনিয়র শিক্ষক থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমান সভাপতি নীলনকশার নির্বাচনে ফলাফল তাদের পক্ষে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে অন্য শিক্ষকদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের পছন্দের তিনজন শিক্ষককে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচিত করেছেন। #
পাঠকের মতামত: