ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার-১ আসনে

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংসদ জাফর আলমের অভিযোগ ভিত্তিহীন

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলম ও তার পক্ষের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক নির্বাচন কমিশনে ভিত্তিহীন অভিযোগ, মিথ্যা প্রচার, হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চকরিয়ার একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।

কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তার কর্মী বাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

এসময় কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচরের এসএম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরাঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: