ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বতন্ত্র প্রার্থী পিতা-পুত্র চকরিয়া-পেকুয়া আসনে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিল সম্পন্ন হয়েছে। পর্যটন নগরী  কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে ভিআইপি আসন হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার -১ (চকরিয়া-পেকুয়া)। এই আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

আলোচিত আসনটিতে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সাতজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। এই প্রার্থীদের মধ্যে দেশের আলোচিত মুখ যেমন আছেন, তেমনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্যও রয়েছেন।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। নানা কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে।

দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও থেমে থাকেননি জাফর আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন তিনি। একই সাথে তার একমাত্র ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ফরম জমা করেছেন। পিতার পাশাপাশি ছেলে তুহিনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মনোনয়ন বঞ্চিত পিতা ও ছেলের মনোনয়ন দাখিল নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম দাখিল করা অপর চারজন হলেন, মীরাক্কেল আরমান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত কমেডিয়ান শিল্পী কমর উদ্দীন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, শিল্পপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম।

রাজনৈতিক দলের পরিচিতিতে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ সালাহউদ্দীন মাহমুদ, জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) হোসনে আরা (তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রী), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বীরপ্রতীক সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, একই দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচিত কয়েকজন মনোনয়ন ফরম দাখিল করায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনটিকে ভিআইপি আসন হিসেবে আখ্যায়িত করছেন লোকজন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ একজনকে মনোনয়ন দিলেও আমিও নির্বাচন করতে পারব বলে দল জানিয়েছেন। এলাকার লোকজন যেমন আমাকে আবারও এমপি হিসেবে চাচ্ছে তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলে দলের পক্ষে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই আমি প্রার্থী হয়েছি।

এমপি পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনটিতে বেশিরভাগ ভোটারের বয়স ৩৫ বছরের কম, আমার বয়সও একই। তাই মনে করছি আমার সমবয়সী ও কম বয়সীরা আমাকে ভোট দেবে। তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোট পেলেই আমি নির্বাচিত হব।

পাঠকের মতামত: