ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

‘স্নাতক পাস ছাড়া আর কেউ সাংবাদিক তালিকাভুক্ত হতে পারবেন না’

78
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেছেন, ‘স্নাতক ডিগ্রি অর্থাৎ বিএ পাস ছাড়া নতুন কেউ সাংবাদিক হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যে সাংবাদিকতায় ১২ বছর অতিবাহিত করেছেন তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য হবে।’
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাদারীপুরে দুই দিনব্যাপী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি তালিকা বা নিবন্ধনের আওতায় আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এক্ষেত্রে সমালোচনা করার লোকের অভাব নেই। তারা বলবেন যে এর মধ্যেও সরকারের কোনও উদ্দেশ্য আছে। তাই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায় থেকে অপসাংবাদিকতা দূর করতে আপনাদের সোচ্চার হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তালিকা তৈরি করা হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে সাংবাদিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।’
মো. শাহ আলমগীর বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শুধুমাত্র অসহায় সাংবাদিকদের কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্য হয়নি। সাংবাদিকদের স্থায়ী কল্যাণ করার জন্য এই তহবিল তৈরি করা হয়েছে। কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ‘সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল’ নামে একটি ফান্ড করেছেন। ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকা জমা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বছরের মধ্যে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলে ৫০ কোটি টাকার ফান্ড হবে।
সাংবাদিকদের প্রশংসা করে পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সাংবাদিকরা আছেন বলে প্রশাসন ও পুলিশ যা তা করতে পারে না। দেশে সাংবাদিকরা সক্রিয় আছেন বলেই অনেক কিছু সুষ্ঠুভাবে চলছে। তা না হলে দুর্নীতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যেত।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘একজন ডাক্তার যদি অর্থনীতি বা কৃষিকাজ নিয়ে খোঁজ-খবর না রাখেন কিছু আসে যায় না।কিন্তু সাংবাদিকদের সব কিছুরই খোঁজ রাখতে হয়। তাই আমার মতে সাংবাদিকরা হলো সমাজের প্রথম সারির মানুষ, আমি বলি অগ্রবর্তী বাহিনী।’
মাদারীপুর এমএম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুসহ আরও অনেকে।

-বাংলা ট্রিবিউন :

পাঠকের মতামত: