ঢাকা,শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী বাপা’র

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: প্রবাল দ্বীপ আরও সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ১৩ দাফা সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখা। এক বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনাসহ দ্বীপবাসীদের কথা চিন্তা করে সরকারের যে সুপারিশ নীতিমালা তৈরি করেছে তা অত্যান্ত যোগপযোগী। উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে একদিকে প্রবালদ্বীপ রক্ষা হবে তেমনি দ্বীপের ঐতিহ্য জীববৈচিত্র্য  ফিরে আসবে। দ্বীপের পরিবেশ অনুযায়ী পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৯৬০ থেকে ১২০০ পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে কাম্য।  দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কথিত কয়েকজন জাহাজ ব্যবসায়ী সরকারের নীতিমালার বিরুদ্ধে একের পর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যা আমরা গভীর ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে রোড়ে অতিরিক্ত জাহাজের কারণে এবং প্রতিটি হাজারে চিপসের প্যাকেট সহ নানা প্লাস্টিক বর্জ্য নাফ নদী ও সমুদ্র ফেলা হচ্ছে যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। নেতৃবৃন্দরা সেন্টমার্টিনে চলাচলে চট্টগ্রাম কক্সবাজার থেকে সরাসরি জাহাজ  চলাচল বন্ধ করার দাবী জানান।

প্রস্তাবিত ১৩ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কক্সবাজারবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দাবি গুলো হলদ্বীপের সৈকত, সমুদ্র বা নাফ নদীতে সব ধরণের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা।পশ্চিম পাশের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পাশের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে পরিভ্রমণ।দ্বীপের সৈকতে মোটরসাইকেলের মতো যান্ত্রিক বাহন থেকে শুরু করে সাইকেল, ভ্যান, রিকশার মতো অযান্ত্রিক বাহনের চালানো। দ্বীপের চারপাশে নৌ ভ্রমণ করা।জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর হাঁটা চলা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, সৈকতে রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা।সৈকতে রাতের বেলা কোন প্রকাশ আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুশ ওড়ানো।সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ—চৈ বা উচ্চস্বরে গান বাজনা করা, বার—বি—কিউ পার্টি করা।ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙর করা।সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ।

প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজ কাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয় বিক্রয়।জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস ও অন্য খাবার খাওয়ানো।দ্বীপে ভুগর্ভস্থ সুপেয় পানি সীমিত বিধায়, পানির অপচয় করা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেকোন কার্যক্রম গ্রহণ করা।দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) দ্রুত বাস্তবায়ন করে দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: