ডেস্ক রিপোর্ট :: দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সব পরিকল্পনা শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই এটি কার্যকর করা হবে। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ দূষণ আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর পাশে গেলে এটি আরও পরিষ্কার হয়। তারপরও আমরা পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছি। পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত্রীযাপন নিষিদ্ধ করা হবে। একইসঙ্গে দখলকৃত সব জমি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে ৬০০ মামলা করা হয়েছে, যেগুলো চলমান।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সামনের সংসদ অধিবেশনে নতুন পরিবেশ আইন উঠছে। তাছাড়া গ্রুপ অব কোম্পানিগুলো যেন নদী দূষণ করতে না পারে, এজন্য নজরদারি হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানা সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার। বাংলাদেশের দূষণ নিয়ে ‘ইনহ্যান্সিং অপারচুনিটিজ ফর ক্লিন এন্ড রেসিডেন্ট গ্রোথ ইন আরবান বাংলাদেশ, কান্ট্রি এনভারমেন্ট এনালাইসিস ২০১৮’ শিরোনামে করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে ৫২ হাজার কোটি টাকার (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি বাংলাদেশের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপির সমান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বে যেসব মানুষ মারা যান, তার ১৬ শতাংশই মারা যান পরিবেশ দূষণের কারণে। যেখানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় দুই গুণ। দেশটিতে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে দূষণের মাত্রা বেশি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ৮০ হাজার মানুষ পরিবেশ দূষণের কারণে মারা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছাড়াও বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: