অনলাইন ডেস্ক ::
গ্রামীণফোন সেল সেন্টারের সহযোগিতায় একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে সিমের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করছে। ওই সিমগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুরে অবস্থিত বিকাশ এজেন্ট ও সিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘মোনাডিক্স বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা ৪২টি কোম্পানির নামে একদিনে ৮৮৬টি সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে। সব সিমই কর্পোরেট সিম হিসেবে বিক্রি দেখানো হয়েছে। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠান জানে না যে, তাদের নামে অবৈধভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলংকান এক নাগরিকের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব অবৈধ সিমের সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভাসানটেক থানা পুলিশ।
এদিকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতারিত প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে প্রতারিতদের কেউ কেউ র্যাব-পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে র্যাব-পুলিশ। প্রতারিত স্বপ্ন এগ্রো ফার্মের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ আমিনুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, ৩১ জানুয়ারি গ্রামীণফোনের ধানমণ্ডি সেল সেন্টার থেকে আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ২০টি কর্পোরেট সিম কিনি। ৫ অক্টোবর শুক্রবার র্যাব আমাদের জানায়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে আরও অতিরিক্ত সিম অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছে গ্রামীণফোন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমাদের নাম ব্যবহার করে ২০০ সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শনিবার র্যাব-৪-এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এ নিয়ে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মানহানি ও প্রতারণার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সিমের ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকারী মোনাডিক্স বাংলাদেশের কর্মকর্তা মুশফিকুল হাসান ওরফে হাসনাতের সঙ্গে পরিচয় গোপন করে কথা বলেন যুগান্তর প্রতিবেদক। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিবিউটর তৌফিক ও আইটি বিশেষজ্ঞ তানিয়া গ্রামীণফোন কর্মকর্তা তানভীনুর রহমানসহ অন্যদের যোগসাজশে ভুয়া নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামীণফোন ও মোনাডিক্স বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ভুয়া সিম রেজিস্ট্রেশন করছিলেন। স্বপ্ন এগ্রো ফার্মের নামে গত জুনে ২০০ সিম অবৈধভাবে অ্যাকটিভ করা হয়। হাসনাত বলেন, শুক্রবার র্যাব কর্মকর্তারা আমাদের অফিসে আসেন। তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর আমাকে র্যার-৪-এর কমান্ডিং অফিসার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের কাছে নিয়ে যায়। আমি তাকে জানাই, তানিয়া নামের এক মেয়ে ভুয়া নামে সিম বেশি রেজিস্ট্রেশন করত। সে এখন চাকরি ছেড়ে একটি কলেজে যোগ দিয়েছে। আমিও চাকরি ছেড়ে দেব। চাকরি ছেড়ে দেয়ার আগে বিষয়টি আপনাদের ধরিয়ে দিয়ে যাই।
হাসনাত জানান, কয়েকদিন আগে ভাসানটেক থানার এসআই মহেশ চন্দ্র সিংহ আমাদের অফিসে আসেন। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এখান থেকে ভুয়া নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। ওই সিম দিয়ে এক শ্রীলংকান নাগরিককে হুমকি দেয়া হয়েছে। তখন মোনাডিক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে তো অনেকে চাকরি করেছেন। তাদের মধ্যে হাসনাত নামের একজন ছিলেন। তিনিও চাকরি ছেড়ে ৪-৫ মাস আগে নড়াইল চলে গেছেন। আমি তখন অফিসে ছিলাম। জানতে চাইলে র্যাব-৪-এর কমান্ডিং অফিসার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির যুগান্তরকে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের নামে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ১৯ সেপ্টেম্বর এক শ্রীলংকান নাগরিক ভাসানটেক থানায় জিডি করেন। ওই জিডির বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে গ্রামীণফোনের ভুয়া সিম রেজিস্ট্রেশনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
ভাসানটেক থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাস্থল ভাসানটেক থানার মধ্যে নয়। ওই স্থানটি ক্যান্টনমেন্ট থানার মধ্যে পড়েছে। তারপরও আমাদের থানায় জিডি হয়েছে। জিডির তদন্ত করছেন এসআই মহেশ চন্দ্র সিংহ। বিষয়টি নিয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এসআই মহেশ চন্দ্র সিংহ বলেন, জিডির বাদী শ্রীলংকান নাগরিক এএইচ নিশান্তা ইউকুম একটি বায়িং হাউসে চাকরি করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের নামে ১০ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জিডি করেন। ইউকুমকে যখন হত্যার হুমকি দেয়া হয় তখন ওই সিমটির অবস্থান ছিল মাদারীপুরের রাজৈর এলাকায়। এসআই মহেশ চন্দ্র সিংহ আরও বলেন, গ্রামীণফোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া এভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয়। জানতে চাইলে গ্রামীণফোন হেড অফিসের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) রাজিব হাসান যুগান্তরকে বলেন, গ্রামীণফোন অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান কোন শাখা থেকে কে কী ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তা সহজেই বলা সম্ভব না। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে যেহেতু র্যাব ও পুলিশ তদন্ত করছে, তাই এ নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না।
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির অবৈধ নির্বাচন
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- প্রশাসনকে সকল দলের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করতে হবে
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী শিকার করতে গিয়ে বন্দুক রেখে পালালো ২ জন
- চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পাঠকের মতামত: