কালের কন্ঠ :: গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) উদ্দেশ্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, তুমি কেডা? নুরুল হুদা আর বেহুদা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তফসিল ঘোষণার সময় রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন এই নেতা। সন্ধ্যায় সিইসি’র তফসিল ঘোষণার পরই ওই টেলিভিশনের প্রতিবেদক রবের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তখন রব বলেন, কার তফসিল? কীসের তফসিল? কার জন্য তফসিল? দেশে পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হয়। জনগণ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। তারা যদি ভোটের বাক্সে ভোটটা দিতে না পারে, ভোটের বাক্সে যদি তার ভোটটা না থাকে। কারচুপি, ব্যালট বাক্স বদল করা, ডাবল ব্যালট ছাপানো, ইভিএম দিয়ে জাল করা, ইঞ্জিনিয়ারিং করা, ঢাকা থেকে ফলাফল ঘোষণা করা, আনসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সিল মারার জন্য। এই সব যদি করা হয় তাহলে এটা কাদের ভোট? কীসের ভোট? কীসের তফসিল?
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, আমরা দাবি করেছি, ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্লামেন্টের মেয়াদ আছে। এটাতো কোনো দেন দরবারের ব্যাপার না, ভোটের অধিকার জনগণের নাগরিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। তুমি কেডা? নুরুল হুদা আর বেহুদা। হু ইজ গভর্নমেন্ট? কে গভর্নমেন্ট? সরকারের জন্য জনগণ নাকি জনগণের জন্য সরকার? সংবিধানের জন্য জনগণ নাকি জনগণের জন্য সংবিধান?
তিনি বলেন, ‘তুমি নির্বাচন কমিশন, তুমি হলে নিরপেক্ষ। সে তো একটা পক্ষ হয়ে যাচ্ছে। আমি সেদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, একটা হলো সরকার পক্ষ, আরেকটা বিরোধী পক্ষ। আপনারা কী তৃতীয় পক্ষ? সেনাবাহিনী এবং ইভিএমের ব্যাপারে আপনারা এত সিরিয়াস কেন? যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আপনাদের তো দেখে মনে হচ্ছে আপনারা একটা পক্ষ, আপনারা নিরপেক্ষ থাকেন।’
রব বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর আপনারাও থাকবেন, আমরাও থাকব। অফিসাররা থাকবে, আমরাও থাকব। মনে রাখেন, অনেকে টিকেট, পাসপোর্ট ও ভিসা করে রেখেছেন।
পাঠকের মতামত: