নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শতবছরের ঐহিত্যবাহি কদ্দাছড়া নামের একটি শাখাখাল ভরাটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের ঘটনা ঘটেছে। নবী চৌধুরী নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা বেশ ক’দিন যাবত স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখাখালের একটি অংশ ভরাট করে চলছেন। এ অবস্থার কারণে উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী ব্যস্ততম সড়কের পাশের এই শাখাখালটি সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে। এতে বর্ষামৌসুমে ইউনিয়নের একটি বিশাল জনপদের পানি চলাচলে চরম বিঘœ সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসি।
স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল দাবি করেছেন, পরিবেশ আইনে প্রবহমান নদী, শাখাখাল ও জলাধার ভরাট করা নিষিদ্ধ রয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শতবছরের ঐহিত্যবাহি কদ্দাছড়া নামের শাখাখালটি ভরাটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে শাখাখালটি সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, নবী চৌধুরী একজন আওয়ামীলীগ নেতা। সেকারণে তিনি স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শতবছরের শাখাখালটি ভরাট করলেও আমরা অনেকটা ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছিনা।
তবে বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানকে অবহিত করেন। এরপর তিনি বিষয়টি দেখতে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেনকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখাখাল ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওইসময় অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন ভরাট করা ওই জায়গা তাদের খতিয়ানভুক্ত বলে দাবি করেছেন। তাই আপাদত সেখানে কোন ধরণের ভরাট কাজ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার অভিযুক্তপক্ষের লোকজন জায়গার কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসে উপস্থিত হবেন। কথার সঙ্গে কাগজের মিল থাকলে ভালো। অন্যথায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: