ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেদান্ত হাসপাতালে গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের কিডনিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে বাম কিডনিতে অস্ত্রোপচারের পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২০১৫ সালের ১১ মে মেঘালয়ের শিলং শহরে পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা হয়। আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে শিলংয়ে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে কিডনি, ডায়াবেটিস, চর্ম, হৃদরোগ ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছিলেন। পাইলোপ্লাস্টি রোগের কারণে কিডনির ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে সালাহউদ্দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যান। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর ৪ মার্চ হরিয়ানায় গিয়ে হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। এরপর ওই হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে অস্ত্রোপচার করান।
সালাহউদ্দিনের সঙ্গে অবস্থানরত তার এক আত্মীয় মুঠোফোনে জানান, সালাহউদ্দিনের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মেঘালয় রাজ্যের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই সালাহউদ্দিনের। কয়েক মাস ধরে কিডনির সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি শিলং সুপার কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে তিনবার ভর্তি হন। তাতেও উপকার না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য মেঘালয়ের বাইরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শিলং জেলা ও দায়রা জজ দাফিরা শতুন ১৩ ফেব্রুয়ারি তার আবেদন মন্জুর করেন।
ওই আত্মীয় আরও জানান, গত বছর সালাহউদ্দিনের ঘাড়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার বাম কিডনিতে জটিল পাইলোপ্লাস্টি হয়েছে। গত কয়েক মাস থেকে তিনি কিডনিতে তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে বিএনপির তখনকার যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হন। পরে ওই বছরের ১১ মে ভোরে শিলংয়ের গলফলিঙ্ক এলাকায় তাকে পাওয়া যায়।
পাঠকের মতামত: