ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

সর্তক সংকেত উপেক্ষা করে সমুদ্রযাত্রা একদিনে ৫০ জেলে নিখোঁজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপেক্ষা করেই বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে মরিয়া হয়ে পড়েছে জেলেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে ৩ নং সর্তক সংকেত থাকলেও তা আমলে না নেওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই হোচট খেয়েছেন তারা। গত ১৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত ৫০জন জেলে ও ৫টি ফিশিং বোটের নিখোঁজ রয়েছে বলে ফিশিং ট্রলার মালিক পক্ষ জানিয়েছেন।
ট্রলার মালিক পক্ষ সুত্রে জানা যায় এফ.বি রাহি, এফ.বি ফরহাদ, এফ.বি আল্লাহর দান, এফ.বি মায়ের দোয়া, এফ.বি-আমানত নামক ফিশিং বোট ও এদের ৫০ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ আছে।
উপকূলীয় ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের জানান কোন সর্তক সংকেত থাকলে সমুদ্রে যাওয়ার কোন নিয়ম নেই। কেউ যদি আইন অমান্য করে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এতে বলা কিছু নেই। তবে আমাদের সমিতি ভুক্ত প্রায় ১৫/২০টি ট্রলার ইতোমধ্যে সর্তক সংক্ষেত উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরতে গেছে। কোন দূর্ঘটনা হলে এর দায়ভার আমরা নেব না।
ট্রলার মাঝি আবদু শুক্কুর জানিয়েছন, আইন না মেনে সাগরে যেতে মালিকপক্ষ আমাদের বাধ্য করে। কেউ যেতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মালিক পক্ষ। অগ্রীম নেওয়া টাকা দ্বিগুণ আদায় করেন মালিক পক্ষ। যার ফলে আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে সাগরে যেতে বাধ্য হই। সম্প্রতি সাগরে নিখোজ হওয়ায় জেলেদের ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে সরকার। ওই টাকা ছাড়া আর কারো কোন সহায়তা জেলেরা পায়নি। মালিক পক্ষ জোর পূর্বক সাগরে পাঠালেও কোন দূর্ঘটনা হলে কারো খোঁজ খবর নেন না। আমরা তাদের কাছে অনেকটা জিম্মি অবস্থায় থাকতে হয়।
জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম জানিয়েছেন, শ্রমিকদের কোন নিরাপত্তা নেই। জলদস্যুদের আক্রমনে প্রাণ হারাচ্ছে জেলেরা। কোন দূর্যোগ হলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একই লোকজন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেউ সহায়তা দিয়েছে এমন দৃষ্ঠান্ত নেই। তাই আমরা চাই সাগরে নিরাপত্তা ও সরকারি আইন মেনে চলতে সবাইকে বাধ্য করা। আমাদের সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া আছে সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত যাতে সমুদ্রে না যায়।
জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান জানান, গত ১৬ আগষ্ট কিছু ট্রলার ঘূর্ণী ঝড়ের কবলে পড়েছে বলে শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে আইন অমান্য করলে আমাদের করার কিছু থাকবে না।

পাঠকের মতামত: