মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাধীন চতুর পাশে বান্দরবান জেলার পাহাড় বেষ্টিত দূর্গম নান্দনিক ইউনিয়ন বমু বিলছড়ি। মাতামুহুরী নদী ও বমু খালের খরস্রোতে মাতামুহুরী নদীর কুলে গড়ে ওঠা বিলছড়ি এলাকায় অবস্থিত এই একটি প্রাচীন জনপদ। পাহাড়ের পাদদেশে নদীর/পাহাড়ের অপরূপ মিলন মেলায় বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন যেন এক উপত্যক। ইংরেজী সভ্যতার জাহাজ যখন এতদ্বঞ্চলে নোঙর করে তখন একটি এলাকা মনোমুগ্ধকর হলে মানচিত্র খুলে ছক দিয়ে এরিয়া (চক এরিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করে রাখে। এই চক এরিয়াই আজকের চকরিয়া। এই চকরিয়াই বড় সমতল এলাকাটাই সবুজ পাহাড় ঘেরা “বমুছড়ি” মানে বমু বিলছড়ি।
বর্তমানে বমু বিলছড়ি এলাকায় লোকসংখ্যা ১৩ হাজার ৭৬০জন। আয়তন ১৪.৫০৪ বর্গকিলোমিটার। পশ্চাৎপদ এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে ২৯ জানুয়ারী ২০০৬ সালের স্থাপন করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক ভবন, প্রয়োজন সংখ্যক ডাক্তার ও নার্স এবং রয়েছে সরকারী পর্যাপ্ত ঔষদ বরাদ্দ। শুধুমাত্র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও ফাঁকি দেয়ার কারণে আজ এতদ্বঞ্চলের গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।
বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পাইন্ন্যাসা বিল এলাকার মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, মাসে এক দুইবার ডাক্তার আসেন। কিছুক্ষণ থেকে হাজিরা খাতা ঠিক করে চাকরী জায়েজ করে চলে যান। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে যে ঔষদ দেয়া হয়, তার অধিকাংশ মেয়াদ উত্তির্ণ।
একই এলাকার বাসিন্দা আহাম্মদ মিয়া জানান, সরকারী ঔষদ গুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। বমু বিলছড়ি এলাকার ফার্মেসি গুলোতে মাঝে মধ্যে সরকারী ঔষদ বিক্রি করতে দেখা যায়।
বমু বিলছড়ি এলাকার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সোলতান আহাম্মদ বলেন, উক্ত এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। সরকার পর্যাপ্ত ঔষদ সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেনা জনগণ।
চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চৌধুরী মোঃ মোর্শেদ বলেন, লোকবল না থাকায় সঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছেনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। পার্শ্ববর্তী মানিকপুর ইউনিয়নের একজন এফডব্লিউভি কে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতালটি। সে সপ্তাহে একদিন দায়িত্ব পালন করে।
পাঠকের মতামত: