টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
বিপন্নপ্রায় সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণে কোডেক-নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের উদ্দ্যোগে কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া এলাকার হাজম পাড়া ও উত্তর শীলখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে ১২৬টি সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চা। ১-৩ দিন বয়সের বাচ্চাগুলো মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে
ইউএসআইডির অর্থায়নে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) কর্তৃক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের আওতায় হাজম পাড়া ও উত্তর শীলখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের কাছিম হ্যাচারিতে বাচ্চাগুলো ফোটানো হয়। ডিমগুলো ৬০ থেকে ৬৫ দিন হ্যাচারিতে রাখার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে। কাছিমের বাচ্চাগুলো সমুদ্রে অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন কোডেক নেচার এন্ড লাইফের প্রকল্প পরিচালক শীতল কুমার নাথ,উপ-প্রকল্প পরিচালক নারায়ন চন্দ্র, দাস,প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপকঅসীম বড়ুয়া, সাইট কো-অর্ডিনেটর মোঃ শরিফুল আলম তুহিন ও মোঃ লিয়াকত আলী প্রমুখ।
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে জেলে সম্প্রদায়সহ স্থানীয় জনসাধারনের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প স্থানীয় ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া এবং উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকতে প্রকল্পের উদ্দ্যোগে কাছিমের ৩টি হ্যাচারী স্থাপন করা হয়। উক্ত হ্যাচারীগুলো তদারকি করার জন্য সার্বক্ষনিক ৫জন গার্ড কাজ করে থাকে। এ বছর এ পর্যন্ত ৯৯টি কাছিমের বাসা থেকে ১০৮৯৫টি ডিম সংগ্রহ করে উক্ত হ্যাচারী ৩টিতে সংরক্ষন করা হয়। নিদিষ্ট প্রজনন সময় পর হ্যাচারীগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪৩০ কাছিমের বাচ্চা পাওয়া যায় যা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয় এবং বাকীগুলো হ্যাচারীতে প্রজনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং প্রজনন পরবর্তী বাচ্চাগুলো সমুদ্রে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
পাঠকের মতামত: