কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার শহরের কলাতলী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে সাইফুল্লাহ (১৫) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে।
আজ বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কলাতলী সমুদ্র সৈকতের প্যাসিফিক রেস্তোরাঁর সামনের পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর উখিয়ার কুতুপালংস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের হাবিবউল্লাহর ছেলে।
ঘটনার সময় মুমূর্ষু অবস্থায় রায়হান (১৪) নামের অপর রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সৈকতের বীচকর্মী মাহবুব আলম জানান, সাইফুল্লাহ ও রায়হানসহ বেশ কিছু রোহিঙ্গা কিশোর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে প্যাসিফিক রেস্তোরাঁর সামনের পয়েন্টে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় সাইফুল্লাহ ও রায়হান সাগরে ডুবে গেলে বীচকর্মীরা সাগর থেকে দুইজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে সাইফুল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এনিয়ে সাগরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে চলতি বছর ২ জন ও আগের বছর ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজার সৈকতে পানির নীচে অনেক সময় গুপ্ত ক্যানেল ও গর্ত তৈরি হয়, যা পানির ওপর থেকে বুঝা যায় না। কোন পর্যটক ভাটার সময় গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে এই ধরনের গর্তে পড়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে ডুবে মারা যায়।
তিনি জানান, বুধবার বিকালে যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সুইমিং জোন না হওয়ায় সেখানে লাইফ গার্ড থাকে না। তাই সুইমিং জোনের বাইরে কোন বিপদস্থানে গোসল করতে নামা উচিৎ নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ ও বীচকর্মীরা সবসময় প্রচারণা চালিয়ে থাকে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থানা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ গোসলের জন্য শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী; এই তিনটি পয়েন্টে বিশেষ ‘সুইমিং জোন’ করা হয়েছে, যেখানে লাল ও হলুদ পতাকা দিয়ে ঘেরাও করা থাকে।
এসব পয়েন্টে সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত লাইফ গার্ড কর্মী ও পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বীচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে গোসল করতে গিয়ে কোন পর্যটক বিপন্ন হয়ে পড়লে জেটস্কিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সাহায্যে পানি থেকে ওই পর্যটককে দ্রুত উদ্ধার করে আনা হয়। এরপর বীচ বাইকযোগে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু অনেক পর্যটক ‘সুইমিং জোন’ এর বাইরে নির্জন স্থানে গোসল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পাঠকের মতামত: