মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :: কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জি.এম রহিমুল্লাহ’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ নভেম্বর। জি.এম রহিমুল্লাহ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর তাঁর শ্বশুরের মালিকানাধীন কক্সবাজার শহরের হোটেল সাগরগাঁওতে ইন্তেকাল করেন।
এর আগের রাতে তিনি একই হোটেলের চতুর্থ তলার ৩১৬ নম্বর কক্ষে একাই ঘুমান। পরদিন সকালেও রুমটির দরজা না খুলায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে পরে রুমটির বিকল্প চাবি নিয়ে বেলা দেড়টার দিকে রুমটি খোলা হয়। সেখানে জি.এম রহিমুল্লাহকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জি.এম রহিমুল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র। জি.এম রহিমুল্লাহ ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে, সহ অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী রেখে যান।
জি.এম রহিমুল্লাহ ছাত্র জীবন থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অজপাড়া গাঁয়ের একজন ছেলে হয়েও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতৃত্ব দেন তিনি। তখনকার সময়ে তার জি.এম রহিমুল্লাহ’র দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল খুবই প্রশংসনীয়।
জি.এম রহিমুল্লাহ ছিলেন একাধারে রাজনৈতিক নেতা, নিষ্ঠাবান সমাজকর্মী, নির্লোভ ব্যক্তি। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত তাকে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারেনি। একবছর আগে তাকে হারিয়ে শুধু বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নয়, কক্সবাজারবাসী একজন সম্পদ হারিয়েছিলো।
মৃত্যূর পরদিন ২১ নভেম্বর বুধবার জি.এম রহিমুল্লাহ’র স্মরণকালের বিশাল প্রথম নামাজে জানাজা সকাল দশটায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এবং একইদিন বাদে জুহুর ভারুয়াখালীতে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচী :
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জি.এম রহিমুল্লাহ’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ২০ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা জামায়াত ইসলামী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। বিষয়টি কক্সবাজার জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মরহুমের বাসভবনে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে মরহুম জি.এম রহিমুল্লাহ’র পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: