ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

শ্যালিকার কী দোষ?

নিজস্ব প্রতিনিধি ::opohoron_1

কক্সবাজারের টেকনাফে স্ত্রী তালাক দেয়ায় ক্ষুব্ধ দুলাভাই শ্যালিকাকে অপহরণ করেছে। অন্যদিকে নেত্রকোনা জেলায় স্ত্রীর সাথে বিবাদে দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালিকাকে খুন হতে হলো। পৃথক দু’টি ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে- শ্যালিকার কী দোষ?

আমাদের টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, স্ত্রী তালাক দেয়ায় ক্ষুব্ধ স্বামী অপহরণ করল শ্যালিকাকে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উৎকণ্ঠায় রয়েছে অপহৃতের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ জুলাই রোববার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামে। অপহৃত কিশোরী হচ্ছে আবদুল গফুর মাঝির কন্যা রুমাইয়া আক্তার।

জানা যায়, গত ৮/৯ বছর আগে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মো. করিমের সাথে একই এলাকার আবদুল গফুর মাঝির কন্যা মাহফুজা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ ছেলে মেয়ে রয়েছে। পেশায় টমটম চালক হলেও করিম ধীরে ধীরে ইয়াবা সেবনের প্রতি ঝুকে পড়ে। এবং ইয়াবাসক্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানকে পর্যন্ত ভুলে যায়। পরিবারের ভরণপোষণ ইত্যাদি না দেয়ায় এক পর্যায়ে গত ১০/১২ দিন আগে স্ত্রী মাহফুজা স্বামী করিমকে তালাক প্রদান করেন। এতে করিম ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার রাত নয়টার দিকে পাশের এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে শ্যালিকা রুমাইয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অপহৃত কিশোরীর বাবা আবদুল গফুর মাঝি বলেন, বুধবার বিকেলে করিমের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে আলাপে জানা যায়, সে আগের সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য আমার ছোট মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে। পরে আমার বড় মেয়ের সাথে আগের সংসার ফেরত পাওয়ার শর্তে রুমাইয়াকে ফেরত দিতে রাজি হয়েছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাঈন উদ্দীন খান জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: