ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শতাধিক শিশুর পিতা তিনি!

100_shishuভিয়েতনামের না তাং শহরের তং ফুয়োক ফুক একজন সহৃদয়বান ব্যক্তি। তার একটি আশ্রম রয়েছে যেখানে বেড়ে উঠছে শতাধিক শিশু। পিতার স্বীকৃতি নেই এমন শিশুদের সাধারণত অনেক মা হাসপাতালেই ফেলে চলে যান। আবার কখনো কখনো আর্থিক কারণে বাবা-মা সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না। এরকম শিশুদের পিতা হয়েই এগিয়ে যান তং ফুয়োক ফুক। শিশুটিকে নিয়ে যান তার আশ্রমে। সেখানে অন্য শিশুদের মাঝে মমতায় লালিত হয় সেই হতভাগ্য শিশু।

তং ফুয়োক ফুকের মহানুভবতার গল্প এখানেই শেষ নয়। অপরিপক্ক ভ্রুণ সমাধিস্থ করার কারণেও তিনি আলোচিত। কোনো নারী যখন অবাঞ্ছিত সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গর্ভপাত ঘটান, সেই ভ্রুণ হাসপাতালের বাইরে নর্দমায় ফেলে দিলে তং ফুয়োক ফুক ওই মৃত ভ্রূণগুলিকে সযত্নে সমাধিস্থ করেন স্থানীয় হোন থোম পাহাড়ের উপর। এভাবেই চলছে ১৫ বছর ধরে। এ যাবৎ প্রায় ১০ হাজার ভ্রূণকে কবর দিয়েছেন ফুক।

ঘটনার শুরু ২০০১ সালে। গর্ভবতী স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়ে একটা দৃশ্য দেখে চমকে যান ফুক। সদ্য গর্ভ থেকে বের করে নেওয়া একটি ভ্রূণকে নিয়ে বাইরে নর্দমায় ফেলে দিচ্ছেন হাসপাতালের এক কর্মী। ফুক বলেন, ‘‌দৃশ্যটা দেখে খুব কষ্ট হয়েছিল। ঠিক করি, ওভাবে নর্দমায় ভ্রূণগুলোকে পড়ে থাকতে দেব না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমিই ভ্রূণগুলোকে সংগ্রহ করি। তারপর পাহাড়ের উপরে কবর দিতে শুরু করি।’‌

না তাং শহরের বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র। তাই অনেকেই নতুন সন্তানের দায়িত্ব এড়াতে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন ফুক। সেইসব সন্তানকেও স্থান দেন তার আশ্রমে। যতদিন না পর্যন্ত সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারেন অভিভাবক, ততদিন শিশুটি থাকে ফুকের জিম্মাতেই। তার মতে, ‘মানুষের প্রাণ অমূল্য। অর্থের কারণে যাতে কেউ গর্ভপাত না করে, সেই চেষ্টাই করছি।

 

পাঠকের মতামত: