নিউজ ডেস্ক ::
জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসছে কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চল কুতুবদিয়া। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রায় দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ২১৫ বর্গমাইল আয়তনের এ উপজেলায় জাতীয় প্রিডের বিদ্যুৎ যাবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৮ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। যার পুরোটাই হবে সরকারি অর্থায়নে। দ্বীপাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত এই প্রকল্প গত বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রাচীন এই জনপদের মানুষ পুরোপুরি বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হলে এখানে শিল্পায়নের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এলে লবণ পরিশোধন শিল্প, মৎস্য-চিংড়ি ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, গভীর সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড ও বরফ কলসহ আরও বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।
এই ব্যাপারে পিডিবির প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, কুতুবদিয়া দ্বীপে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মাতারবাড়ি থেকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ যাবে। এছাড়া মাতারবাড়ি থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কেভি রিভার ক্রসিংসহ লাইন নির্মাণ করা হবে। মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া রয়েছে কুতুবদিয়ায় দুই কিলোমিটার ওভার হেডলাইন ও বিতরণ লাইন। মূল প্রকল্প ১৪৮ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৫ টাকার হলেও ঠিকাদারের সাথে চুক্তি হবে ১০৮ কোটি টাকার। অবশিষ্ট ৪০ কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। এখন ঠিকাদারের সাথে চুক্তি শেষে এবছরের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
জানা গেছে, প্রকল্পটির কাজ করবে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের একটি কনসোর্টিয়াম। বাংলাদেশের পাওয়ার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে রয়েছে মালয়েশিয়ার জেএটিআই ও মিয়ানমারের ইয়াংগিন।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, কুতুবদিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৮ মেগাওয়াট। বর্তমানে দুই মেগাওয়াট বিদ্যুতে অল্পসংখ্যক মানুষ উপকৃত হলেও অধিকাংশ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
পাঠকের মতামত: