মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
লামার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ে রবিবার গণিত পরীক্ষার দিন নকল সরবরাহ ও সহায়তা করার দায়ে এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে নকল সহ ধৃত চাম্বি স্কুলের শিক্ষার্থী মাহাবুব আলমকে বহিষ্কার করা হয়নি। বহিস্কৃত শিক্ষক অরুন কুমার সুশীল লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আবদুচ ছত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, লামার চাম্বি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৭নং কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরুন কুমার সুশীল। এসময় সে চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাবুব আলমকে নকল দিয়ে সহায়তা করে এবং তার সামনে আরো অনেক শিক্ষার্থী নকল করলেও সে সুযোগ দিয়ে চুপ করে থাকেন। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক টিমের সদস্য ও মাতামুহুরী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল আলম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি দেখতে পেয়ে নকল সহ শিক্ষক অরুন কুমার সুশীল ও শিক্ষার্থী মাহাবুব আলমকে ধৃত করে।
নকল সরবরাহে বাধা ও ধৃত করায় চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আবদুচ ছত্তার এর উষ্কানিতে আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বোর্ডের পরিদর্শক টিমের সদস্য ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেন বলে জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। আরো বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের মেয়ে চাম্বি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান পরীক্ষা হলে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। সে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা হলে অবস্থান করে।
চাম্বি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আবদুচ ছত্তার বলেন, নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষক অরুন কুমার সুশীলকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে।
উক্ত কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলীনূর খান বলেন, বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
পাঠকের মতামত: