ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বার্থে ভবিষ্যতে এ ধরনের লাইভ সম্প্রচারের বিষয়ে আরও সতর্ক হবেন।
শনিবার (০২ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়কে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশনগুলো বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হচ্ছিলো। এতে ভেতরে থাকা সন্ত্রাসীরাও তাদের পরিকল্পনা বিষয়ে জেনে যাচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সরে যাচ্ছে।
‘আমেরিকায় ৩০ জন মানুষ মেরে ফেলা হলো। একটা লাশের ছবি দেখানো দেখায়নি কোনো মিডিয়া, রক্তাক্ত কোনো ছবি দেখানো হয়নি। অথচ আমারা মিডিয়াতে লাশের ছবি দেখাই, রক্তাক্ত ছবি দেখাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের লাইভ সম্প্রচারের প্রভাব শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ওপর পড়তে পারে। এসব প্রাইভেট টিভি চ্যানেল আমার হাতেই দেওয়া। আমি দিতে যেমন পারি, নিতেও পারি। তাই টেলিভিশনের যারা মালিক, তাদের অনুরোধ করবো, এ ধরনের লাইভ সম্প্রচার থেকে বিরত থাকতে।’
তিনি বলেন, আমরা টিভির লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করার কারণেই অপারেশন সাকসেসফুল করতে পেরেছিলাম।
এ জন্য সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, ৠাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (০১ জুলাই) রাতে একদল অস্ত্রধারী রাজধানীর গুলশান-২ এ হলি আর্টিজেন বেকারিতে ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখে।
এ সময় ওই রেস্তোরাঁ থেকে গুলি চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে তারা। পরে সকালে সেখানে কমান্ডো অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের আহ্বান জানাই, তারা যেনো সন্ত্রাসীর পথ পরিহার করে। এ ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে।
‘দেশের মানুষ যদি সবাই সচেতন হয়। তবে বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হবে না।’
পাঠকের মতামত: